রাজধানীর বুকে স্বনামধন্য বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
জীবন ও সমাজ ডেস্ক : ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের বুকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আদর্শ বিদ্যালয় হলো বটমলী হোম বিদ্যালয়। যা এখন পর্যন্ত হাজারো শিক্ষার্থীকে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে অবিরত অবদান রেখে চলেছে। এসএমআরএ সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে শিক্ষাদানে অবদান রেখে চলেছে। মুলত, বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি তেজগাঁও ধর্মপল্লীর অধীনে অবস্থিত। ১৯৪৬ খ্রিস্টবর্ষের ১ এপ্রিল হলিক্রস সিস্টারগণ কয়েকজন অনাথ ও এতিমদের নিয়ে বটমলী কোসব এর গোড়াপত্তন হয়। তখন সংঘের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন সিস্টার মেরী গ্লোরিয়া সিএসসসি। তিনি এতিমদের সুশিক্ষত করার মানসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেন। হলিক্রস সিস্টারদের কর্মপ্রচেষ্টার ফলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সিস্টার মেরী পের্পেতুয়া ১২৪৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ৯ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করে বিদ্যালয়টিকে গড়ে তোলেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রূপে আত্মপ্রকাশ করে। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়রূপে ১৪ বছর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অবশেষে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দ ৩১ ডিসেম্বর ৯ম শ্রেণি খোলার অনুমতি লাভ করে। এসময় প্রধান শিক্ষক ছিলেন সিস্টার গ্লোরিয়া ভ্যালতোভিয়োস সিএসসি। তিনি এ পদে নিয়োজিত ছিলেন ১৯৬৮-১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। তারপর সিস্টার এলজিয়া আরএনডিএম ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলার ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ ছিলো হাতবলের সময়।এসময় যুগান্তরকারী পরিবর্তন আসে। প্রথম এসএমআরএ সিস্টার মেরী গেট্রুড এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত অতীব দক্ষতার সাথে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। তারপর বিভিন্নজন এদায়িত্বে থেকে নিবেদিত হয়ে বিদ্যালয়টিকে একটি আর্দশ বিদ্যালয়ে পরিণত করেছেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে সিস্টার মেরী সুপ্রীতি এসএমআরএ এই মহান সেবাদায়িত্ব পালন করছেন। বিগত চার বছর যাবৎ তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে অত্র বিদ্যালয়ে সেবাদান করেছেন এবং ২০২১ এর মার্চ মাস থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের বুকে বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি স্বনামধন্য বিদ্যালয় হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয়।
জীবন ও সমাজ অনলাইন ম্যাগাজিনকে বিদ্যালয় সম্পর্কে আরও ইতিবাচক বিষয়সমূহ সহভাগিতা করেন প্রধান শিক্ষিকা শ্রদ্ধেয় সিস্টার মেরী সুপ্রীতি এসএমআরএ।
অত্র বিদ্যালয়ের বিশেষ অর্জন হিসেবে জীবন ও সমাজ ‘কে সিস্টার বলেন, ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে মহাসমারোহের সাথে বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। সিস্টার মেরী পেট্রা এসএমআরএ দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে দক্ষ হাতে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করেছেন। তারেই তত্ত্বাবধানে দুটি একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। তিনি জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে খ্রিস্টান সমাজ, সম্প্রদায় এবং বিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে আনেন। পরবর্তী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বিভিন্নভাবে বিদ্যালয়টির সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করেছেন যা নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাশ তাদেরই কর্মপ্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ যা আমাদের প্রতিষ্ঠানের অলঙ্কাররূপেই শোভা পায়। এছাড়াও, তিনি শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা এবং শ্রেষ্ঠ গাইডারেরও মর্যাদা পান। শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ ও সৃজনশীলতার ধারা বজায় রাখতে বিদ্যালয়ে নিয়মিত বালার্ক পত্রিকা প্রকাশ করা হয় যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর লেখনীর ছোঁয়ায় রঞ্জিত একটি পত্রিকা।
শিক্ষা বর্হিভুত অর্জন সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, শিক্ষা বহির্ভূত অর্জনের মধ্যে রয়েছে ইয়ালো বার্ড, গার্লস্ গাইড যা জাতীয় পর্যায়েও অবদান রাখছে। তাছাড়া, এ বিদ্যালয়ের ফুটবল টুর্নামেন্ট টীম জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করেছে। প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন নাচ, গান, কবিতা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও পুরস্কার অর্জনের মধ্যদিয়ে বিদ্যালয়ের সুনাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করছে। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে বিদেশে (চীনে) গিয়েও প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্রী (মান্হা) গণিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।মালয়েশিয়ায় গিয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী অধরা মুন্সী গার্ল গাইডে প্রথম স্থান অধিকারের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বহুগুণ। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সার্বিক প্রকাশ ও বিকাশে সচেতন এবং বিশেষ ভূমিকা পালনে সর্বদা সচেষ্ট।
করোনায় দীর্ঘ বিরতির পর আপনাদের স্কুল খোলার পুনঃপ্রস্তুতি এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার মাঝেও শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ বলা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, অক্সিমিটার যন্ত্র, হ্যান্ড ওয়াস, সেনিটাইজার, মাস্ক, প্রয়োজনীয় বেসিন বসানো, বেনার করা, সিটি করপোরেশনের লোক এনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা ইত্যাদি সব ধরণের প্রস্তুতি ছিলো।প্রথম দিন ড্রাম বাজিয়ে ও বেলুন হাতে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করা নেয়া হয়। অন্যদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব ধরণের নির্দেশ পালন করেই শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সুপারভাইজার নিয়মিত পরিদর্শনে আসছেন এবং সকল বিষয়াদি তদারকি করছেন।
করোনার এই দীর্ঘ বিরতির ফলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পার্সেন্টেজ কতোটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত থাকে, যার ফলে উপস্থিতি খুবই কম। আর কিছু শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক সমস্যা ও বিভিন্ন সমস্যার ফলে পুনরায় গ্রামে ফিরে গেছে। তবে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শতকরা ৫% বলা চলে। অনেক শিক্ষার্থীই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কাজেই, করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আকাশ-সংস্কৃতির যুগে টেলিযোগাযোগ সব সময় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে আকাশ-সংস্কৃতির অবদান অনস্বীকার্য। যেমন: অনলাইনে বিশেষ বাণী বা মেসেজ পৌঁছানো, শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় উৎসাহিত করা; এমন কি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সিলিং গ্রুপ খোলা ও পরামর্শ দান ইত্যাদি।প্রয়োজনে সরাসরি কাউন্সিলিং এর সুযোগও সৃষ্টি করা হয়েছে। করোনার নির্মম থাবায় যারা আর্থিক কষ্টে কাতর, বেতন পরিশোধে ব্যর্থ; তাদের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিলো এবং রয়েছে।
অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলীর ভূমিকা এবং এক্ষেত্রে শিক্ষকমণ্ডলীর প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, খুব দ্রুত সময়েই আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী দক্ষতার সাথে অনলাইন ক্লাস দেয়ায় অভ্যস্ত হয়েছেন। এসবই তাদের নিবেদিতপ্রাণ ও নিজের কর্তব্যের প্রতি দায়িত্ববোধেরই পরিচয় বহন করে। নিয়মিত অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে শিক্ষকদের ভূমিকা অতুলনীয়। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়েছে। তারা ফেইসবুক লাইভ, জুম, গুগল ক্লাশরুম এবং ভিডিয়ো ক্লাস ইত্যাদি সব ধরণের ক্যাম্পাসেই অভ্যস্ত হয়েছেন।
অনলাইনে পাঠদানের পাশাপাশি পরীক্ষা নেয়া ও মূল্যায়নের পদ্ধতি এবং এক্ষেত্রে কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন তা জানতে চাইলে তিনি জানান যে, অনলাইনে পাঠদানের পাশাপাশি পরীক্ষা নেয়া ও মূল্যায়নের পদ্ধতি ছিলো সরাসরি। নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের খাতা/এসাইনমেন্ট জমা নেয়া এবং গ্রেডিং পদ্ধতিতে তাদের রেজাল্ট দেয়া, সরকার নির্দেশিত এসাইনমেন্ট মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই তা করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু এবং এই ডিজিটাল শিক্ষাপদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণে অভিভাবকেরা কতোটুকু সহায়ক ভূমিকা পালন করছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হলেও ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করেছে। অভিভাবকগণের প্রচেষ্টার কমতি ছিলো না বলা যায়। তারা তাদের সাধ্যমতো সন্তানদের পড়াশুনায় সহায়ক ভুমিকা পালন করেছেন। অনলাইন ক্লাসে তাদের রেকর্ডসংখ্যক উপস্থিতিও তাই বলে। সেইসাথে শিক্ষকদের দক্ষতাও অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমি মনে করি।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে শিক্ষকদের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে শিক্ষকদের মতামত: প্রথমদিকে, একটু কম ছিলো কিন্তু দিন-দিন তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে যা বর্তমানে রয়েছে তা যথেষ্টই বলা যায়। তবে বর্তমানে সরকার বিদ্যালয় খুলে দেয়ার কারণে আরও ভালোভাবেই সরাসরি পাঠদান করতে পারছেন বলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে তারা মনে করছেন।
নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ভর্তির বিষয়ে সর্বদাই প্রতিষ্ঠান উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। যেমন: কিছু শিক্ষার্থী এসেছে, যারা এতোদিন ভর্তি হয়নি, মানবতার খাতিরে তাদেরও ভর্তি নেয়া হয়েছে। আগামী বছরের জন্য দেশের পরিস্থিতি দেখে নভেম্বর-ডিসেম্বরে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হবে বলে আশাবাদী।
সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সিস্টার মেরী সুপ্রীতি তার মূল্যবান বক্তব্যে বলেন, জীবনের উন্নয়নের প্রধান সোপানই হলো শিক্ষা। “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দেব”- বিশিষ্টজনের এই কথার আলোকে আমি শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, প্রত্যেকে যেন শিক্ষিত হওয়ার একটি স্বপ্ন মনে লালন করে। স্বপ্নপূরণে যা-যা করণীয় তা করতে তারা যেন পিছপা না হয়। শিক্ষার মাধ্যমে নিজে আলোকিত মানুষ হয়ে, আলোকিত ও শিক্ষিত সমাজ গড়তে পারবে। এপিজে আব্দুল কালাম বলেছেন, “জীবন আর সময় হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। জীবন শেখায় সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে আর সময় শেখায় জীবনের মূল্য দিতে।” শিক্ষার্থীরা সবাই তাদের জীবনে সময়ের মূল্য দিতে শেখে, সময়ের সদ্ব্যবহার করে যেন জীবনকে সঠিক ধারায় পরিচালনা করতে শেখে। তারা জীবনের নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনাগুলোকে দূরে রেখে ইতিবাচক চিন্তা-চেতনায় বেড়ে উঠতে শেখে। বিদ্যালয়ের পুথিঁগত শিক্ষার পাশাপাশি যে নৈতিক, মানসিক, সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষাদান করা হয় তা তারা যেন মনে রেখে উন্নত মূল্যবোধসম্পন্ন হয়ে একজন মানবিক ব্যক্তি হয়ে গড়ে ওঠে। সঙ্গতকারণেই মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, “ব্যক্তির দেহ, মন ও আত্মার সুষম বিকাশের প্রয়াসই হলো শিক্ষা।” শিক্ষার্থীরা দেহ-মন-আত্মার বিকাশে নিজেদের মননশীলতা, সৃজনশীলতার চর্চায় নিজেকে ব্যাপৃত রাখুক।
যুগে-যুগে বহু মহৎ
লোক পৃথিবীতে এসেছেন। তাঁরা তাদের জীবনে অনেক ভালো কাজ
করে তাদের অনুসরণ করার আদর্শ রেখে গেছেন, যার ফলে তারা তাদের কর্মের মধ্যদিয়ে
চিরকাল মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন
ও থাকবেন। তাদের দেয়া মহৎ কিছু
বাণী যা শিক্ষামূলক উক্তি,
কখনও আমাদের অনুপ্রণিত করে, কখনও আবার কঠিন সময়ে মনে সাহস
যোগায়, আবার কখনও জীবনে
চলার পথে মানুষ চিনতেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাদের সাহায্য করে। তাই শিক্ষার্থীরা
যেন পড়ার অভ্যাস গড়ে
তুলতে পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হয় ও জীবনে সঠিক পথ বেছে নিতে পারে সেই কামনা করি।
পরিশেষে, বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সিস্টার সুপ্রীতি এসএমআরএ-এর সুদক্ষ নেতুত্বে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে সকল শিক্ষার্থীর সফলতার পথ সুগম করুক এবং বটবৃক্ষ হয়ে হাজারো শিক্ষার্থীকে জ্ঞানদান করুক এবং সঠিক পথে আনয়ন করতে পাঠদান করার আদর্শ পাঠশালা হয়ে উঠুক অবিরত। এই বিদ্যালয়কে বেছে নেয়া সেই সকল শিক্ষার্থী মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক এবং সেইসাথে দেশ, জাতি এবং বিশ্বের অপ্রত্যাশিত অন্ধকার কেটে যাক তাদের আলোকিত জীবনের স্পর্শে সেই মঙ্গল কামনা করি।
[জীবন ও সমাজে পাঠাতে পারেন আপনারও লেখা প্রবন্ধ, গল্প ও ফিচার।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা : jibonoshomaj@gmail.com]
Heartfelt thanks to Jibon o Somaj for your generosity & concern.
ReplyDelete