লিটন আরিন্দা: ঐতিহ্যবাহী ও শিক্ষার আলোকবর্তিকাস্বরূপ বরিশালস্থ উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় যা বরিশাল কাথলিক ডাইয়োসিসের হলিক্রস ব্রাদারদের দ্বারা পরিচালিত। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রার শুরু থেকেই উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জীবন ও জীবিকা প্রতিটি ক্ষেত্রকে বিবেচনা করে সুনামের সাথে বরিশালে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখে আসছে। বিশ্বময় যখন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চলছে উৎকণ্ঠা, তখনও সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সেবাদানকারীদের সামর্থ অনুসারে সমর্থন করার নজির স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের কিছু সংখ্যক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানই এমন নজির সৃষ্টি করতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অব্যাহত রাখার জন্য অনলাইন কার্যক্রম পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এতে শিক্ষকদেরও আন্তরিকতা ও প্রাণপণ প্রচেষ্টাও প্রশংসার দাবীদার। আজ অবধি উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়-এর পিএসসি, জেএসসি এবং এসএসসি’তে ১০০% পাশ নিশ্চিত করে আসছে এবং শিক্ষার্থীদের এ+ (জিপিএ) অর্জনের হারও সন্তোষজনক। তাছাড়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে শিক্ষার্থীদের আরও ভালো ফলাফল করার হার দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
![]() |
ছবিতে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দ |
লিটন আরিন্দা এর সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে কিছু অজানা বিষয়াদি। সাক্ষাৎকারে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ব্রাদার সামুয়েল সবুজ বালা সিএসসি বলেন, ‘আমাদের হাতেই আমাদের ভবিষৎ, আজ যারা সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে, ভবিষ্যতে সেভাবেই জীবনকে পরিচালিত করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।’
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকার কথা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বরিশালের সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। এই বিদ্যালয় ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে শিক্ষাবিস্তার ও প্রসারে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কোভিড-১৯ এর ফলে যখন সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে, তখনও উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অগ্রণী ভূমিকা সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্দেশিত প্রতিটি নীতিমালা অক্ষরে-অক্ষরে পালনসহ ছাত্রছাত্রীদের এবং অভিভাবকদের বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চলমান রাখার জন্য ও সময়ের যথার্থ ব্যবহারের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সিলেবাস অনুসারে রুটিন তৈরি করে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকদের দ্বারা ক্লাস রেকর্ডিং করে প্রতিষ্ঠানের ওযেবসাইটে, ফেসবুক পেইজে প্রতিদিন আপলোড করা হচ্ছে এবং এসএমএস এর মাধ্যমে পিতামাতা/অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আমি প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের অনলাইন মনিটরিং করছি ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। স্কুলের সকল শিক্ষকগণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করছেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের পাশে সর্বক্ষণ আমরা আছি।
করোনা মহামারী সময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে স্কুলের পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ও প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সাথে-সাথে কিছু-কিছু পরিবারের ও স্কুলের আর্থিক স্বচ্ছলতাও ব্যহত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মাঝে সাবান, মাস্কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জামসমূহ বিতরণ করেছে এবং কিছু-কিছু শিক্ষক যারা ব্যক্তিগতভাবে অনেক সমস্যাগ্রস্ত, তাদের আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই মহামারী সময়ে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীকে সেবাদানের ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা মহামারীতে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ কোন না কোনভাবে ক্ষতির সম্মুুখীন হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি মাসের বেতন দেয়া হয়েছে এবং করোনা মহামারী চলমান অবস্থায়ও উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুইবার স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের জরুরী অবস্থায় এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী।
অনলাইনে ক্লাস নিশ্চিত করতে ঝুঁকি এবং তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ সম্বন্ধে তিনি বলেন, অনলাইন ক্লাশ পরিচালনার ক্ষেত্রে খুব বেশি একটা সমস্যা হয়নি, যেহেতু আমাদের শিক্ষকম-লীকে অনলাইন ক্লাস সরকারি ঘোষণা আসার সাথে-সাথেই তাদের অভিজ্ঞ কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে এবং শিক্ষক দ্বারা অনলাইন ক্লাশ কিভাবে পরিচালনা করতে হবে তার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানে এর আগে থেকেই কম্পিউটার অপারেটিং এবং অনলাইন মিডিয়ার যাবতীয় কাজের বিষয়ে কম-বেশি সবাই দক্ষ, তাই তেমন কোন সমস্যা হয়নি। লকডাউনের প্রথমদিকে শিক্ষকদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল যে, কিভাবে এই করোনার মধ্যে স্কুলে গিয়ে ক্লাস পরিচালনা করবেন। কিন্তু শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ থেকে সব শিক্ষকই অনুভব করেছেন যে, ঝুঁকি থাকলেও আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কিছু করা দরকার। শিক্ষকদের যানবাহনে চলাচল বিপজ্জনক সত্ত্বেও দায়িত্ববোধ থেকে, তারা পায়ে হেঁটে স্কুলে এসে অনলাইনে ক্লাশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। প্রতিটি সাবজেক্টের শিক্ষক স্কুলে এসে অনলাইনে ক্লাশ নিচ্ছেন এবং যারা গ্রামে আছে, তাদের বাড়িতে বসেই অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, অনলাইনে ক্লাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাসায় যথাযথ মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অনলাইন ক্লাসের মধ্যদিয়ে কতটুকু আশান্বরূপ ফল পেয়েছেন: বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন ক্লাস শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চর করেছে এবং ইতোমধ্যে, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। এসব ক্লাশে শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট মনোযোগী হতে দেখা গেছে। অভিভাবকেরাও অনলাইন ক্লাস পদ্ধতিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে যে ঘাটতি ছিল তা অনলাইনে সম্পন্ন হওয়ার ফলে সেই ঘাটতি শতকরা ৬০% কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
বিদ্যালয়ে এই শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের গ্রহণ এবং ডিজিটাল শিক্ষাপদ্ধতিতে শিক্ষণে অভিভাবকদের সহায়ক ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের এই শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীরা অনেকটাই স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষণে অভিভাবকগণ যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে পড়াশুনা পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। শিক্ষার্থীরা আবার পড়ালেখার সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে। সকলেরই অনুভূতি যে, স্কুল বিগত দিনগুলোর মতই চলমান রয়েছে। মূলত, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ইতিবাচক সাড়াদান, সমর্থন ও মন্তব্য সর্বোচ্চ সফলতারই ইঙ্গিত বহন করেছে বলে ধারণা করা যায়।
উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়-এর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য নতুন লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন যা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং করা হবে তার মধ্যে কতিপয় হল:
👉পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি-এর ফলাফল পূর্বের তুলনায় ভালো অর্থাৎ ১০০% পাশ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ+ (জিপিএ) হার পূর্বের যে কোন সময়ের থেকে এখন বেশি।
👉 স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় সন্তোষজনক করা।
👉 স্কুলের পরিবেশ-পরিস্থিতি গতিশীল রাখা। শুধু ভাল ফলাফল নয়, ভাল মানুষ তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলা।
👉 সময়ানুবর্তী ও ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী সবার মধ্যে আন্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে তোলা।
👉 শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-অভিভাবক সকলের মধ্যে ইতিবাচক সমন্বয় করা। বিগত দুটি বছরে অভিভাবক সমাবেশ বা মতবিনিময় সভা অতীতের যেকোন সময়ের থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
👉 সকলে একটি পরিবার হয়ে কাজ করা।
👉 বিদ্যালয়ের রুটিন এবং বিশেষ ক্লাসের ধরন ও প্রয়োগ পরিবর্তন করা হয়েছে।
👉বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য চারতলা ভবনের পরিকল্পনা পাশ করা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে নতুন ভবনের কাজ শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ।
সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ব্রাদারের মূল্যবান কিছু কথা: আমাদের হাতেই আমাদের ভবিষৎ, আজ আমরা যেভাবে নিজেকে গড়ব, ভবিষ্যতে আমরা সেভাবেই এ জীবনকে পরিচালিত করবো। আমাদের হাজারো সমস্যা থাকবে, আমরা যেন সেই প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করি, ভুল বা ব্যর্থতা থেকে হতাশা না হই, বরং এর থেকে শিক্ষা নিয়ে যেন সামনে এগিয়ে যাই। আমাদের মূল্যবোধ ও নিজস্ব সংস্কৃতিকে চর্চা করি। একটু কম স্বার্থপর হই, নিজ দেশকে ভালবাসি এবং একজন ভাল মানুষ হই। ঈশ্বর আমাদের এই জীবনটাকে একটি উপহার হিসেবে দিয়েছেন, আমরা যেন অপরের কাছে এক একটি উপহার হয়ে উঠি।
প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে বরিশাল কাথলিক ডাইয়োসিসে অবস্থানরত হলিক্রস ব্রাদারগণ। মাঝে বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিগণ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও, সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে হলিক্রস ব্রাদারগণ পুনরায় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি মানবিক ও নৈতিক শিক্ষাসেবায় বেড়ে উঠা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১৩ জন এবং ৫২ জন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক রয়েছে। উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবিষ্যতে কলেজে উন্নীত করার যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই দুর্যোগকালীন অবস্থায়ও শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর যৌথ প্রয়াসে প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার সামুয়েল সবুজ বালা সিএসসি’র দিকনির্দেশনায় করোনাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে সদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন এবং বাস্তব জীবনে নিজ সংস্কৃতির চর্চায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করছেন। করোনার মত যেকোন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম করে তোলা ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ তৈরির লক্ষ্য সফল হোক। সর্বোপরি, শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু প্রকাশ ও বিকাশের মধ্যদিয়ে গড়ে উঠুক জাতীয় নেতৃত্ব, উদিত হোক নতুন সূর্য উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমাহীন দিগন্তে ॥
[পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ: করোনাকালে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন কোন অগ্রণী ভূমিকা কি ছিল যা নিয়ে জীবন ও সমাজে ফিচার হিসেবে দেয়া যেতে পারে। তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : jibonoshomaj@gmail.com ]
বিজ্ঞাপন : ডোমেইন, হোস্টিং, রেডি ওয়েবসাইট, এসএসএল সার্টিফিকেট এবং বাল্ক এসএমএস সার্ভিস পেতে কত খরচের কথা চিন্তা করে নিম্ন মানের সেবা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ডোমেইন-হোস্টিং ও আইটি সেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান হল : ডায়না হোস্ট লিঃ ।
তাদের সেবা পেতে ভিজিট করুন : Diana Host Ltd.
[জীবন ও সমাজে পাঠাতে পারেন আপনারও লেখা প্রবন্ধ, গল্প ও ফিচার।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা : jibonoshomaj@gmail.com ]