ঢাকায় স্বাস্থ্যসেবায় সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল


স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে খ্রিস্টান ব্রতধারী-ব্রতধারিনীদের দ্বারা পরিচালিত বেশ কিছু হাসপাতাল অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। বলা যায়, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এই হাসপাতালগুলো সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের বুকে তেজগাঁও থানার আওতাধীন ফার্মগেট এলাকায় খ্রিস্টান ব্রতধারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল’। হাসপাতালের সেবা ও চিকিৎসা দান সম্পর্কে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে অত্র হাসপাতালের পরিচালক ফাদার কমল কোড়াইয়া’র সাক্ষাৎকারে।যিনি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সুদক্ষ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন লাকী ফ্লোরেন্স কোড়াইয়া।

ফার্মগেট এলাকায় “আলরাজী হাসপাতাল” থাকা সত্ত্বেও সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতালটি স্থাপন করার চিন্তা ও এর উদ্যোক্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের মণ্ডলীতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা এদুটো দিকও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমদিক থেকেই এবিষয়টির ওপর মণ্ডলী গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এমন কি আমাদের গোটা বাংলাদেশে মনে হয় ৩০% স্বাস্থ্যসেবা আমাদের মিশনারীগণ দিয়ে আসছে। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটি প্রথমে আমাদের ছিলো। তখনকার সময়ে পুরো ঢাকার মধ্যে এই হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটি বেস্ট ছিলো। তখন আমাদের ম্যান পাওয়ার ছিলো না। সিস্টারগণও চলে যায়। স্বাধীনতার পর কিছু সমস্যার কারণে আমরা হাসপাতালটি চালাতে পারিনি। ফলশ্রুতিতে, বিনা পয়সায় হাসপাতালটি রেড ক্রস-এর হাতে তুলে দেয়া হয়। এরপর রেড ক্রস থেকে রেড ক্রিসেন্টে পরিবর্তন হলো । এরপর সেবার মান অনেকটাই কমে যায়। ঢাকাতে স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের কোন উপস্থিতি নেই। আমাদের বর্তমান কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, আর্চবিশপ থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা প্রশ্নটি সামনে আনেন এবং ঢাকা শহরে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। আর এজন্য তিনি একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবেন। কেননা সেবার মধ্যদিয়ে যীশু খ্রিস্ট তাঁর জীবনে ৩০% ভাগ সময় কাটিয়েছেন মানুষকে সুস্থ করে। পরবর্তীতে, আর্চবিশপ তাঁর কাউন্সিলর, ফাদার ও অন্যান্য সংঘের সাথে আলোচনা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন। ভেবে দেখা যায় যে, বর্তমানে যেখানে হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে প্রায় দুই বিঘা জমি রয়েছে এবং এখানে হাসপাতাল স্থাপন করলে ভালো হয়। সেই চিন্তা থেকেই ২০১৯ সালে এখানে হাসপাতালটি স্থাপন করা হয় এবং সেবছরই ১৯শে নভেম্বর মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হাসপাতালটির শুভ উদ্বোধন করা হয়। ১৯শে নভেম্বর হাসপাতালটির শুভ উদ্বোধন করা হলেও প্রতি বছর ৪ঠা আগস্ট হাসপাতালের পর্ব পালন করা হবে। এর কারণ হলো ৪ঠা আগস্ট সেন্ট জন মেরী ভিয়ানীর পর্বদিন।

অত্র স্থানে আলরাজী হাসপাতাল থাকার পরও আমাদের এই হাসপাতাল করার বিষয়টি বলা চলে, এটি পরিচালনা করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। 

হাসপাতাল স্থাপনের ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে কোন ধরণের সমস্যা বা বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, কোনদিক থেকেই আমরা কোন প্রকার বাঁধা পাইনি। কোন প্রকার সমস্যাও হয়নি। বরং মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীও উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। হাসপাতাল উদ্বোধনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন।

নতুন হাসপাতাল হিসেবে এপর্যন্ত যেসব সেবা দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং সেবাদানের ক্ষেত্রে কোন বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেবার মহান আদর্শকে সামনে রেখেই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছি, সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই প্রায় সব ধরণের সেবাই দিয়ে আসছি। আমরা চেষ্টা করছি, রোগীরা যে বিশ্বাস নিয়ে এখানে আসছে তা যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। এখানে মা ও শিশু কর্নার রয়েছে। সাথে রয়েছে জরুরী বিভাগ। যে কোন সময় রোগী প্রয়োজনে জরুরী বিভাগে এসে সেবা নিচ্ছে। এখানে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞও আছেন। তাই চাইলে ক্যান্সার আক্রান্ত যে কেউ এসে সেবা নিতে পারে। আমাদের গাইনি ডাক্তার রয়েছে এবং ওটি’র ব্যবস্থাও রয়েছে। কাজেই, গাইনি ডাক্তারগণ দক্ষতার সাথে ডেলিভারী করতে পারছেন এবং মা ও শিশুর যত্ন নিচ্ছেন। 

সমস্যার কথা বলতে গেলে দেখা যায়, দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তারের কিছু অভাব থেকেই যায়। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি এখানে ভালো ও দক্ষ ডাক্তারদের নিয়োগ দিয়ে যেন সেবার মান ভালো হয়। আর অপর একটি দিক হলো- আমরা যারা হাসপাতালটির পরিচালনায় আছি, তারা প্রায় সকলেই নন-মেডিকেল পার্সন। তাই এখানে কাজ করতে গিয়ে আমাদের নতুন কিছুই শিখতে হচ্ছে। আমরা ডাক্তারের কাছ থেকেই অনেক কিছু শিখতে পারছি। আবার দেখা যায়, আমরা হাসপাতাল-এর উদ্বোধন করি ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর। আর কিছুদিন পরই ২০২০ সালে মার্চ মাসে দেশের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। আর আমরা মনে করি, এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা ঈশ্বরের একটি পরিকল্পনা ছিলো। তিনি চেয়েছিলেন, এই হাসপাতালের মধ্যদিয়ে অনেক মানুষ যেন সেবা পেয়ে সুস্থ জীবন যাপন করে। তবে প্রথমদিকে, সেবা দিতে গিয়ে আমাদের হাসপাতালের আমরা প্রায় ২৭/২৮ জন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হই। পরে বাধ্য হয়েই প্রথমদিকে আমরা হাসপাতালটি বন্ধ করে দেই। কিন্তু হাসপাতাল বন্ধ রাখলেও কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করিনি। এটাও পরবর্তীতে আমরা সকলে যখন সুস্থ হয়ে উঠি এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করি, যার ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলে পর আমরা সাহসের সাথে নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে থেকে আন্তরিকতার সাথে তাদের সেবা দিতে শুরু করি। আমরা প্রায় ২০০০ এর মত করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছি এবং সুস্থতার হার ছিলো ৯৯%। দুই-একজন যারা মারা গেছে, তারা খুবই জটিল অবস্থায় এখানে এসেছিল। আমরা তাদের জীবনের শেষ সময়টুকু সেবাদানের মাধ্যমে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।

এখানে সাধারণত কোন ধরনের নিতে রোগীরা বেশি আসে তা জানতে চাইলে তিনি জানান, সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যা যা দরকার, আমাদের সবই আছে। কাজেই সব ধরণের রোগীরাই এখানে আসে। আমাদের লক্ষ্য হলো ভালো সেবা প্রদান করার আর এক্ষেত্রে মানবিক দিকটি আমরা সর্বদাই বিবেচনায় রাখি।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন যে, সেবার মান বলতে -আমি বলবো, প্রথমেও ভালো ছিলো, এখনও ভালো আছে। এখানে ডাক্তার ও নার্সগণ যথেষ্ট আন্তরিক ও দায়িত্বশীল। ছোট্ট একটি উদাহরণ-এখানে বেশ কিছুদিন আগে অজ্ঞান অবস্থায় একজন রোগীকে আনা হয়। ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনি বেডে শোয়া অবস্থায়ই থেকেছেন। খুবই জটিল সমস্যাই ছিলো তার। এখানে ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিক সেবায় সে সুস্থ হয়ে ওঠে। আজ তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তার বোন আমাকে জানান যে, রোগী হাসপাতাল ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না। সকলের সেবা এবং হাসপাতালের পরিবেশ দেখে তিনি নাকি খুবই আপ্লুত হয়েছেন। আর এই রোগী হলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সেবা দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি।

২০১৯ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর থেকে ২০২১ এর ডিসেম্বর বেশিদিন নয়- এই অল্প সময়ে হাসপাতালের পরিচিতিতে সেবার মান, নাকি পরিচিত মাধ্যমটি বেশি কাজ করেছে এই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান যে, আসলে আমাদের মিশনারীদের সম্পর্কে এমনিতেই সকলে ভালো জানেন এবং বিশ্বাস করে যে, এখানে ভালো সেবা পাবে। কাজেই, পরিচিতির ক্ষেত্রে “মিশনারী” শব্দটি খুব শক্ত প্রথম থেকেই। তবে আমাদের সেবার মান ভালো এটাও সত্য। আশা করি, এভাবেই উত্তম সেবা প্রদানে আমরা আরও পরিচিতি লাভ করবো।

হাসপাতালটির সরকারী অনুমোদন ও সকল প্রকার সরকারী নিয়মাবলি মেনে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, হাসপাতালটি করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক অনুমতি ছিলো বলেই হাসপাতালটি করতে পেরেছি। হাসপাতালের সরকারীভাবে রেজিষ্ট্রেশন করা আছে। আর বর্তমানে করোনার কারণে একটু দেরী হচ্ছে। তবে আমাদের ফার্মেসীর সম্পূর্ণ অনুমতি রয়েছে। 

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোন প্রকার আর্থিক  সাহায্য নিয়েছেন কিনা তা জানকে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা কোন প্রকার সরকারী সাহায্য নেইনি। এমনকি বিদেশী কোন সাহায্যও আমরা গ্রহণ করিনি। এ হাসপাতাল সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব আয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি। তবে আমরা সরকারী অনুমতি পেয়েছি এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। আর এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু (ডোনার) ওটি, প্যাথোলজি, ডেন্টাল ইউনিট এবং কিছু যন্ত্র কেনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অর্থদান করেছেন। আর একারণে আমরা খুব উপকৃত হয়েছি। আমরা আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ডোনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। 

হাসপাতালের ধরণ, প্রকৃতি বা অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন যে, আমাদের হাসপাতালটি ৩  তলা বিশিষ্ট। এভাবে ২য় তলাতে পুরুষ ওয়ার্ড এবং তয় তলাতে মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে। হাসপাতালটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। এখানে ভিআইপি কেবিন ৩টি এবং সেমি কেবিন রয়েছে ৪টি। আর খরচও তেমন বেশি না। রোগিদের প্রয়োজনীয় সকল সুবিধাই আমরা দিতে চেষ্টা করছি। এই হাসপাতালটি সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এরই মধ্যে আমরা ডেন্টাল ইউনিট চালু করেছি। 

হাসপাতালের পক্ষ থেকে বাড়তি কোন সামাজিক কর্মকাণ্ড করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে হাসপাতালের বহির্ভূত সেবা হিসেবে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কিছু সামাজিক সচেতনমূলক সেমিনার করছি। আমাদের মেডিকেল টিম নিয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি এবং বিভিন্ন রোগ যেমন-করোনা, ব্রেস্ট ক্যানসার ইত্যাদি রোগ সম্পর্কে সচেতন করছি। সুদক্ষ কর্মীদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ডেলিভারির সংখ্যা সম্পর্কে বলেন যে, এখন পর্যন্ত এখানে সিজার ডেলিভারি হয়েছে ২৫/৩০টির মতে। আর নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ৭/৮টির মতো।

খ্রিস্টান হাসপাতাল হিসেবে রোগিদের কতটুকু সুবিধা দিতে সক্ষম হচ্ছেন সেবিষয়ে বলেন, আমাদের হাসপাতাল নতুন। তার ওপর উদ্বোধনের পরপরই মহামারী করোনার ছোবল। তবুও সকল দিক বিবেচনা করে আমরা রোগিদের ক্ষেত্রে ৮% ডিসকাউন্ট দিচ্ছি। আমরা পপুলার-এর সাথে কন্ট্রাক্ট করেছি সিটি স্ক্যান এর জন্য রোগীকে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিতে হবে না এবং একইসাথে রোগীর কাছ থেকে সিটি স্ক্যান -এর বরাদ্দ টাকা হতে ১০০০ টাকা কম রাখবে। তাছাড়া, রোগী খুব অসহায় হলে, তবে তার সিট ভাড়া হতে ৫% ডিসকাউন্ট করি। আর প্যাথোলজিতে ৩০% ডিসকাউন্ট দিচ্ছি। 

এপর্যন্ত সেবা দিতে পেরে কতটুকু সন্তুষ্টবোধ করেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেবার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রথম থেকেই চেষ্টা করছি উন্নত ও মানসম্মত সেবা দিতে। এখানে আমাদের টিম ওয়ার্ক যথেষ্ট ভালো। সকলেই নিজ-নিজ অবস্থান হতে অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। এতে আমি খুবই সন্তুষ্ট এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে অদূর ভবিষ্যতে যেন আরও ভালো সেবা দিতে পারে আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। আরও উন্নত চিন্তা-ভাবনা করছি। 

পরিশেষে, হাসপাতালের পরিচালকের স্বপ্ন সম্পর্কে বলেন, আসলে হাসপাতাল নিয়ে আমার একার কোন স্বপ্ন নেই। আমার ধর্মপ্রদেশের স্বপ্নই আমাদের স্বপ্ন। তবে এই হাসপাতাল একদিন অবশ্যই বড় হবে, আরও উন্নত সেবা প্রদান করবে এবং মানুষ উপকৃত হবে। খ্রিস্টীয় সেবার মনোভাব নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সেবা প্রদান করবো, সেবার মধ্যদিয়ে দেশের মানুষের পাশে থাকবো-এমন প্রত্যাশা করি, বাকিটা ঈশ্বরের হাতে।

খ্রিস্টীয় আদর্শে মানুষের সেবায় নিবেদিত ও প্রতিষ্ঠিত সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতালের পদযাত্রা অনুকরণীয় হোক এবং ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষের আরোগ্যলাভে সহায়ক হোক এবং পাশাপাশি এই সেবাকাজে নিয়োজিত সকল কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। পরিচালক ফাদার কমল কোড়াইয়া’র সুদক্ষ পরিচালনায় উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করুক ও দশের সেবাদান অব্যাহত থাকুন এটাই কামনা করি জীবন ও সমাজ’এর পক্ষ থেকে। 


সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী : লাকী ফ্লোরেন্স কোড়াইায়া

শিক্ষিকা, বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

ফেইসবুক লিংক : Lucky Corraya


[দৃষ্টি আকর্ষণ: যদি মনে করেন এমন কোন আলোকিত ব্যক্তিকে নিয়ে আমাদের জীবন ও সমাজের অনলাইন ম্যাগাজিনে বিশেষ ফিচার করা যেতে পারে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা সেই ফিচার করে তার আলো ছড়াবো, যাতে অন্যরাও সেই ব্যক্তিত্বের আলোয় আলোকিত হতে পারে। 

 আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : jibonoshomaj@gmail.com] 

[পাঠকদের  দৃষ্টি আকর্ষণ:  করোনাকালে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের এমন কোন অগ্রণী ভূমিকা কি ছিল যা নিয়ে জীবন ও সমাজ-এ ফিচার করা যেতে পারে। তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : jibonoshomaj@gmail.com]  


[জীবন ও সমাজে- পাঠাতে পারেন আপনারও বস্তুনিষ্ঠ লেখা প্রবন্ধ, গল্প ও ফিচার। 
লেখা পাঠানোর ঠিকানা : jibonoshomaj@gmail.com ] 


1 Comments

  1. Thanks for writing such a beautiful and informative article! I really enjoyed reading it! Thanks again! I myself am a blog writer! I have some blogs for your audience! I hope they can learn a lot from my article! If you have any questions about Skills Development and Freelancing, visit TEvan Academy.
    1- Express Vpn Premium Account For Free 2022
    2- Payday Loans: The Complete Guide to Payday Loans

    3- Automobile Insurance IN South Dakota

    4- How Your Legal Needs Can be Solved by a Canadian Lawyer 2022

    ReplyDelete
Previous Post Next Post