সবাইকে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার আঘাত লঘু হচ্ছে তা অনুমেয়। আর তাই তো অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে, জনজীবনের স্বাভাবিক চলাফেরা।  কেবল মাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কর্যক্রম চালাচ্ছেন। তার  মধ্যেও শতকরা কতজন শিক্ষার্থী এই পাঠদানের আওতায় আসতে পারছে তা চিন্তার বিষয়। আর যারা অনলাইনে ডিজিলাল শিক্ষা গ্রহণ করতে তারাই বা কতটুকু গ্রহণ করতে পারছে? অনেকেই এই সুযোগে বাবা-মায়ের কাছ থেকে মোবাইল কিংবা বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে ক্লাসের নামে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটেচ্ছে ইন্টারনেটে। এছাড়াও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তো তাদের পাঠাদান কার্যক্রম অব্যহত রাখতে পারেনি। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিস্ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দিনাজপুরের সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষাকার্যক্রমের ওপরে ফিচারে উঠে এসেছে করোনাকালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতি তাদের অগ্রণী ভূমিকা যা সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে দৃষ্টান্তস্বরূপ। এরূপ আরো অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, যা সত্যিকার অর্থে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কথা ভাবে। অন্যান্য শ্রেণীর পেশার মানুষের ন্যয় যারা শিক্ষা সেবায় নিয়োজিত, তারাও এই করোনার আঘাতে পিষ্ট হয়েছেন প্রচুর। তাই আমাদের সবাইকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে তাদের কথাও ভাবতে হবে। এখন সময়টা হলো আমাদের একে-অপরের পাশে দাঁড়ানোর। সুযোগ পেলে অসহায় মানুষের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দিতে হবে। আর তা না পারলে বিশ্বমানবতা বিপন্ন হবে। করোনা পরবর্তী বিশ্বে যেন মানবতা, নৈতিকতা ও কল্যাণবোধ মরে না যায়, সে লক্ষ্যে এখন থেকেই সকল প্রকার অন্যায়-অত্যাচার, অর্থপাচার ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, করোনা আসলে কারও ক্ষমতা, প্রভাব-প্রতিপত্তি, অর্থবিত্তকে তোয়াক্কা করে না। আর করে না বলেই কিন্তু করোনা ধনী-গরিব সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে চাই, তবে অবশ্যই প্রত্যেকের জন্য সর্বজনীন এবং ভালো মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু কোভিড-১৯ সঙ্কট স্বাস্থ্যখাতে আমাদের যে অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতা রয়েছে, তা আবারও সকলের সামনে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যখাতের উন্নতির বিষয়টি সামগ্রিকভাবে দেখা উচিত। আর সেখানে পৌঁছানোর জন্য আমাদের দীর্ঘ এবং কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে । 


এখন আমাদের আসল যুদ্ধে নামতে হবে। আর এই যুদ্ধ হলো একে দেশ গড়ার যুদ্ধ। আমাদের মানতে হবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে স্থবির হয়ে গিয়েছে। এর এটাকে আরো ইতিবাচক সূচকের দিকে উঠাতে আমাদেরও কঠোর শ্রম দিতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে যা প্রয়োজন তা হল নিজেকে সুস্থ রেখে তারপর পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্যে কিছু করা এবং নিজেকে ঠিক রাখতে দরকার সচেতনতা ও পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। ভুলে গেলে হবে না, যে, জীবনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবিকা, আবার জীবিকা ছাড়া জীবন হয়ে পড়ে অনিশ্চিত, অসহায়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার প্রয়োজনে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধজনিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা সবচেয়ে জরুরী। একইভাবে জীবিকার কার্যক্রম চালিয়ে নেয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সবদিক সমন্বয় করে পরিকল্পনামাফিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম দুটোই এগিয়ে নিতে হবে। জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করেই আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে করোনা। 

জীবন ও সমাজ হলো একটি মাসিক অনলাইন ম্যাগাজিন পোর্টাল। আর মাস শেষে ‘সম্পাদকীয়’-এর মাধ্যমে মাসিক ম্যাগাজিনের পরিপূর্ণতা লাভ করে। আর এই মাসের আয়োজনে ছিল : 



Post a Comment

Previous Post Next Post