লাকী ফ্লোরেন্স কোড়াইয়া : দ্রুত হাঁটতে গিয়ে রাস্তায় বসা ফকিরের পায়ে লেগে মেয়েটি পরে গেল। এক ছেলে দৌঁড়ে এসে মেয়েটির হাত থেকে ছিটকে পরা মোবাইলটা তুলে নিয়ে ফকিরকে ১০০ টি টাকা দিল।ফকির অবাক হয়ে ছেলেটির দিকে তাকাতেই ছেলেটি হাসি মুখে বলল- চাচা,আমি একজন পুলিশ।এই মাত্র ইনি আমার মোবাইলটা পকেট মেরে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।আপনার জন্য ই একে ধরতে পারলাম।
সাথে সাথে ফকিরটি লাফ দিতে উঠে দাঁড়িয়ে পুলিশের কলারে ধরে বলল,ওরে বাটপার, গত সপ্তাহে তুই ই আমার কাছ থেকে এই মোবাইলটা ছিনাইয়া নিছিলি!আর এতদিন ধইরা শুধু ব্ল্যাকমেইল করতাছ?দুইজনের হাতাহাতিতে লোকটার দাঁড়ি খুলে গেল।
ওরে বাটপার! |
গন্ডগোল শুনে পাশের বাড়ি থেকে এক মহিলা দৌঁড়ে এসে লোকটার হাত চেপে ধরে বলল,এইবার যাইব্যা কই?খাইছ ধরা।নতুন মোবাইল নিয়া নতুন নান্বার নিয়া অন্য মেয়ের সাথে ইটিস পিটিস কর, তাই না?আর যায় কোথায়?পাশ থেকে মেয়েটি লাফ দিয়ে এসে লোকটার কানটেনে ধরে বলল,ইউ লায়ার!তুই ম্যারিড?তোকে আমি জেলের ভাত খাওয়ামু!
এতক্ষণে ভিড় ঠেলে একজন ছেলে এসে মেয়েটিকে বলল, থানায় পরে যাইও। আগে এই ডিভোর্স পেপারে সাইন দাও। অনেক ঠকাইছ আমারে। আর না! ছেড়ে দে মা, কাইন্দা বাঁচি!
এর পর যা হবার নয়, তাই হল। পাশে দাঁড়ানো সেই রাগী মহিলাটি ছেলেটির সামনে এসে তর্জনী নেড়ে রাগী গলায় বলল, চিটার, তুই তো বলছিলি তোর বউ মইর্যা গেছে। আরে হারামজাদা দোজখেও যেন তোর স্থান না হয়! তোরে আমি জমের বাড়ি পাঠামু!
এত লোকের ভিড় আর চেঁচামেচিতে ছুটে এল রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশ। কাউকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই পুলিশ ভদ্রলোক খপ করে সেই ব্ল্যাকমেইল করা পুলিশের হাতে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে দিয়ে বলল, ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট। এতদিন ভুয়া পুলিশ সেজে জালিয়াতি করার অপরাধে তোকে গ্রেফতার করা হল!
এত্তসব কান্ড দেখার অনুশোচনায় সেখানে উপস্থিত লোকজন বুকে কষাঘাত করতে করতে যার যার ঘরের দিকে যাত্রা শুরু করল।কিন্তু কারোরই মুখ বন্ধ ছিল না!ওরে বাটপার... ওরে বাটপার... শব্দটা কমন হয়ে বুকে কষাঘাত রত সকলের মুখে খইয়ের মত ফুটতে লাগল!
"কেউ ধোয়া তুলসি পাতা নয়"- কথা সত্য!