যীশু ক্রুশ বহন করে কালভেরী পর্বতে যাত্রা করেন

যীশু ক্রুশ বহন করে কালভেরী পর্বতে যাত্রা করেন

সিস্টার মেরী প্রশান্ত এসএমআরএ:

তৎকালে ইহুদীদের প্রথা অনুযায়ী  দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন প্রকার ক্রুশ ব্যবহার করত। যীশুর জন্য তারা ব্যবহার করেছিল "ক্রুক্স কস্মিসা"। যীশুর বেলায় ক্রুশের লম্বা কাঠটি  গেই কালভেরী পর্বতে পুতে রাখা হয়েছিল।  তাই যীশুকে ক্রুশের অন্য অংশটি, যার নাম " পাটিবুলুম" বা আড় কাঠটি  কাধেঁ করে বহন করতে হয়েছিল। সেই কালভেরী পর্যন্ত।



যীশুর শবাচ্ছাদনী প্রমাণ করে যে যীশুর দেহ ছিল ১মিটার, ৭৮ সেন্টি মিটার লম্বা ছিল। যার অর্থ, কাঠের ওজন হল ১ মিটার, ৭৬ সেন্টিমিটার; এক কথায় আড়ের কাঠির ওজন ছিল ৭৫ কিলোগ্রাম। একজন শক্তিশালী ব্যক্তির পক্ষেও এটা ছিল বিরাট ওজন আর যীশু, যিনি ইতিমধ্যেই নিষ্ঠুর অত্যাচারে নির্মম ভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁর জন্য ক্রুশের এই আড়ের কাঠটি বহন করা আরো কত না ওজন ও কষ্টদায়ক ছিল। এজন্যই যীশু এই কাঠ বহন করতে পারছিলেন না আর চিরেন বাসী শিমনের সাহায্য  প্রার্থী হতে হয়েছিল। তাঁর হাত দু'টি আড় কাঠের সাথে বাধা ছিল,  যার কারণে যীশু কালভেরীর পথে তিন তিনবার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই জন্যই পতনের সময় তাঁর হাটু দু'টিতে গভীর ক্ষত হয়েছিল, নাকের নরম হাড়গুলি ভেঙে  গুড়ো গুড়ো হয়েছিল। কারণ পতনের সময়  তিনি হাত বাড়িয়ে আঘাত ঠেকাতে পারেননি, ফলে জোরের সঙ্গে  মাটিতে থুবড়ে পড়ে যান।

আসুন আজ এই পুণ্য শুক্রবারে তাঁর পবিত্র ক্রুশ কাষ্ঠটি  নিয়ে আমরা নীরবে একটু ধ্যান করি, তাঁর ক্ষতস্থানগুলি চুম্বন করি। যীশুর পুণ্য স্পর্শে এই ক্রুশটি হয়ে উঠেছে আমাদের পরিত্রাণের চাবি কাঠি।

Post a Comment

Previous Post Next Post