জামানতবিহীন ঋণ দেবে নগদ

দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ নিত্যনতুন উদ্ভাবনী সেবা নিয়ে হাজির হচ্ছে গ্রাহকের কাছে। দেশের আর্থিক খাতের অনেকগুলো নতুনের প্রচলন ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উদ্ভাবনী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে নগদ বর্তমানে ভালো অবস্থান তৈরি করেছে বাজারে। নগদ এবার তার গ্রাহকদের জামানতবিহীন কোটি টাকা ঋণ দেবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি নাগাদ এসএমই ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা তানভীর এ মিশুক। সম্প্রতি তাঁর একান্ত সাক্ষাৎকারে নিয়েছেন- রুহুল আমিন রাসেল ও জামশেদ আলম রনি

সিঙ্গেল ডিজিটে এসএমই ঋণ

তানভীর এ মিশুক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কথা চিন্তা করে চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই সিঙ্গেল ডিজিটের এই এসএমই ঋণ নিয়ে আসছি আমরা। যে কোনো শ্রেণির উদ্যোক্তারা এই ঋণ নিতে পারবেন। কারওয়ান বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা যে সুদে ঋণ নিতে পারবেন, বড় শিল্পগোষ্ঠীও একই সুদে ঋণ নিতে পারবেন। এর মধ্যে করপোরেট ঋণও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একটি মাত্র ‘নগদ’ অ্যাপ দিয়েই আর্থিক সব ধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে মানুষ। শেয়ার বাজারে ট্রেড করা থেকে শুরু করে কেনাকাটা, সরকারি যে কোনো ধরনের ফি, চাকরির ফি সবই এই অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া যাবে। মাইক্রো এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে। ফেসবুকে যে ব্যবসা করে তার জন্যও এই ঋণ সেবা থাকবে। যে কেউ চাইলে ৫ হাজার টাকাও ঋণ নিতে পারবে। আবার বড় অ্যামাউন্টের ঋণও নেওয়া যাবে। সব সেক্টরের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে। আমাদের এই ঋণসেবা মাইক্রো থেকে শুরু করে এসএমই পর্যন্ত কাভার করব। পার্টনার ফাইন্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হবে। এর সঙ্গে মাল্টিপল ব্যাংক অথবা মাল্টিপল ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন যুক্ত থাকবে।’

জামানতবিহীন ঋণ দেবে নগদ


আসছে স্বাস্থ্যবীমা

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্যবীমা নিয়েও আমরা কাজ করছি। কভিড বুঝিয়ে দিল স্বাস্থ্যবীমা কতটা জরুরি। নগদের প্রত্যেক কর্মীর স্বাস্থ্যবীমা করা আছে। এর মধ্যে তার পরিবারের সবার স্বাস্থ্যসেবা কাভার করে। আমরা চাচ্ছি মিনি প্যাক আকারে স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে আসতে। পাশাপাশি মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স সেবাও আমরা নিয়ে আসছি। এর বাইরে যারা নারী উদ্যোক্তা আছেন তাদের জন্যও আমরা সেবা নিয়ে আসছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও এখন এটি প্রমোট করছে।’

নগদের যাত্রা যেভাবে

কোন তাগিদ থেকে নগদের যাত্রা শুরু এ বিষয়ে তানভীর এ মিশুক বলেন, প্রথমত মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেনের খরচ অনেকটাই বেশি ছিল। আমি ভাবছিলাম কীভাবে এই খরচ কমিয়ে সহনীয় করা যায়। দ্বিতীয়ত আর্থিক সেবার জন্য একটি বড় সংখ্যক মানুষ অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল, সময়সাপেক্ষ হওয়ার কারণেই এমনটা ছিল। শুরু থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল এগুলোর সমাধান করা। আমার ভালো লাগার কারণ আছে যে, চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে পেরেছি এবং তাতে কিছুটা হলেও মানুষের মনে স্বস্তি এসেছে।

নগদের এগিয়ে যাওয়ার গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ভালো একটি টিম পেয়েছি যাদের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে কাজে হাত দেওয়ার সাহস করি। ফলাফল তো সবাই দেখতে পাচ্ছেন। নগদ-এর মাধ্যমে এখন দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ যার একটি ফোন আছে নিজের অ্যাকাউন্ট নিজেই খুলতে পারছেন। সেটিও মাত্র কয়েক সেকেন্ডে এবং কোনো রকম খরচ ছাড়া। শুরুতে আমরা ই-কেওয়াইসি চালু করেছিলাম যাতে জাতীয় পরিচয়পত্রের দুই দিকের ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে আপ করলেই চলত। কিন্তু তাতেও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান হয়নি। ফলে বাটন ফোনের উপযোগী করে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা হলো। যেখানে যে কোনো মোবাইল থেকে *১৬৭# ডায়াল করে যে কেউ চার ডিজিটের একটা পিন সেট করেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন।

তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘যে কোনো শ্রেণির উদ্যোক্তারা এই ঋণ নিতে পারবেন। কারওয়ান বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা যে সুদে ঋণ নিতে পারবেন, বড় শিল্পগোষ্ঠীও একই সুদে ঋণ নিতে পারবে।  এর মধ্যে করপোরেট ঋণও অন্তর্ভুক্ত থাকবে

অচিরেই ক্যাশলেস লেনদেন

ক্যাশলেস লেনদেনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো বিশ্বাস করি ক্যাশলেস হওয়াটা আমাদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা এখনো ‘লেস ক্যাশ’-এর মাঝামাঝি একটা পর্যায়ে আছি। তবে আমাদের শক্ত ভিত তৈরি হয়ে গেছে। মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রসারের মাধ্যমে এটা হয়েছে। আমরা ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশনের শুরুটা ঘটিয়েছি। মানুষ সেটা গ্রহণ করেছে। এরপর একে একে আরও অনেক উদ্ভাবন এতে যুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশের আর্থিক খাত প্রসঙ্গ

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের চেহারাটা এখন কেমন? এর জবাবে তানভীর এ মিশুক বলেন, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বলি আর সামর্থ্য বলি, আমার বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন যে কোনো সময়ের তুলনায় সেরা অবস্থানে আছে। মানুষের কাজ আছে, ঘরে খাবার আছে। শিক্ষিতের হার বাড়ছে। আয় বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে যার প্রভাব পড়েছে গোটা অর্থনীতির ওপর। ফলে গ্রামগুলোও শহরের সুবিধা পেতে শুরু করেছে। আর্থ-সামাজিক সূচকে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। এসবই আসলে আমাদের অগ্রগতির বার্তা দেয়।

আমরা যে শুধু নিজেরা নিজেরা উন্নতি করছি আর বাইরের লোকেরা সেটা দেখছে না, তা তো নয়। বিশ্বের নানান গবেষণা প্রতিবেদন এবং পূর্বাভাসে আমাদের আগামী সুদিনের ঘোষণা থাকছে। বাংলাদেশকে এখন এশিয়ার টাইগারসহ নানান অভিধা দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর একটি হব। এ সবই তো আসলে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা বহন করে। মোট কথা আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং উন্নত দেশ হওয়ার সফল অগ্রযাত্রার দিকেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

নগদ পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ

নগদ পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা প্রসঙ্গে তানভীর এ মিশুক বলেন, নগদ নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রতিটি পদক্ষেপেই কঠিন পরিস্থিতি পাড়ি দিতে হয়েছে। যত বড় হয়েছি ততই চ্যালেঞ্জ কঠিনতর হয়েছে। গ্রাহক বা সেবা-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের কথা বলছি না আমি। বরং পারিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জেই বেশি পড়েছি। ২০১৯ সালের স্বাধীনতা দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নগদ-এর উদ্বোধন করলেন তার আগে থেকেই শুরু হয় চ্যালেঞ্জ। তবে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি বলব উদ্বোধনের আগের দুই মাসকে। একটা পক্ষ পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলেন যে, নগদ চালু করতে পারব কি না তা নিয়েই সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল। ঘাবড়ে যাচ্ছিলাম এটা ভেবে যে, বছর বিশেক আগে টেলিটকের শুরুর সময়ও এমনটা হয়েছিল এবং টেলিটক সঠিক সময়ে বাজারে আসতে পারেনি। পরিকল্পনার চেয়ে কয়েক বছর পরে বাজারে এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত সব বাধা-বিপত্তি জয় করে নগদ যে এগিয়ে যেতে পারছে এবং মানুষের জীবনে সামান্য হলেও প্রভাব রাখছে এতেই আমাদের শান্তি।

প্রথম লেনদেন করেন প্রধানমন্ত্রী

নগদের প্রথম লেনদেনের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তানভীর এ মিশুক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অফিসিয়ালি প্রথম লেনদেন হয় ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের মধ্যে ১০ হাজার টাকার একটা লেনদেন ছিল ওটা।

ওই লেনদেন শুধু নগদ-ই নয়, আমার জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা। আনন্দে আমার চোখে পানি এসে যাচ্ছিল। লেনদেনটা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে ১০ হাজার টাকা উপহার দেন। আমি ওই টাকাটাকে আমার জীবনের অন্যতম পাথেয় হিসেবে নিয়েছি। টাকাগুলো বাঁধাই করে পরম যত্নে আমার বাসায় রেখে দিয়েছি।

নগদের লক্ষ্য মানুষের ভালোবাসা

লাভজনক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা নাকি মানুষের জীবনে ভূমিকা রাখে এমন সফল প্রতিষ্ঠান তৈরি করা- কোনটি আপনার লক্ষ্য? এ বিষয়ে তানভীর এ মিশুক বলেন, অবশ্যই সাধারণ মানুষের জীবনে ভূমিকা রাখতে পারে এমন সফল প্রতিষ্ঠান গড়তে চাই আমি। আমি চাই নগদ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের অংশ হয়ে উঠুক। ব্যবসা তো চাইবই। কিন্তু ব্যবসা করতে গিয়ে ভালোবাসা হারাতে পারব না।

নগদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, বিশেষ করে খরচ কমানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তার তুলনা হয় না। আমার কাছে এর মূল্য অপরিসীম। বিশ্বাস করুন, সবার সহযোগিতায় নগদ এখন এমন একটা অবস্থানে পৌঁছেছে যে, আমরা চাইলে আগামীকাল থেকেই বড় অঙ্কের লাভ করতে পারি। কিন্তু সেটি আমার প্রধান লক্ষ্য নয়। কোম্পানি চালাতে গেলে লাভের প্রয়োজন আছে, লাভ চাইও। কিন্তু মানুষের ভালোবাসার বিনিময়ে নয়। বরং ভালোবাসার মাধ্যমেই লাভের জায়গা খুঁজে নিতে চাই আমরা। এই বিষয়টি এখন নগদ-এর সবার মধ্যে ঢুকে গেছে। নগদ-এর সবাই এখন এটি বিশ্বাস করে।

জীবনমান উন্নয়নের হাতিয়ার

ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে আপনি মনে করবেন লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন? এ বিষয়ে তানভীর এ মিশুক বলেন, আমি চাই সাধারণ মানুষ তাদের জীবনমান উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে নগদ ব্যবহার করুক। ৮ বা ১০ কোটি গ্রাহক নয়; দৈনিক হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন আমার লক্ষ্য নয়। বরং যখন দেখব দেশের সব মানুষ নগদকে নিজেদের জীবনের অংশ ভাবছে তখনই আমার লক্ষ্য পূরণ হবে।

কোন ঘটনার পর থেকে মনে হলো নগদকে আটকানো যাবে না- এর জবাবে তিনি বলেন, সেবা চালু হওয়ার মাত্র ১০ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে যেদিন আমরা এক দিনে ১০০ কোটি টাকার লেনদেন করলাম সেদিন আমার মধ্যে বিশ্বাস জন্মে যে, নগদ-কে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। এরপর তো একে একে নানান উদ্ভাবন এবং গ্রাহক উপযোগী সেবা নগদ-এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।

আগামীর নগদ পরিকল্পনা

নগদের আগামী দিনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তানভীর এ মিশুক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের পথচলা সবে শুরু। ২০২২ সালেই বড় পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এখন আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক কার্যক্রমকে প্রযুক্তি এবং স্বল্প ব্যয়ের দিক থেকে আরও বেশি সহজ করা। সেই সঙ্গে আমি চাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আসুক। এটা করতে পারলেই ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হয়ে উঠবে। উন্নত দেশ হওয়ার এই অগ্রযাত্রায় নগদ এবং আমি ভূমিকা রাখতে চাই। সামগ্রিকভাবে বললে নগদ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের চেহারাটা বদলে দিতে চাই।

সৌজন্যে : বাংলাদেশ প্রতিদিন


[জীবন ও সমাজে- পাঠাতে পারেন আপনারও বস্তুনিষ্ঠ লেখা প্রবন্ধ, গল্প ও ফিচার। 
লেখা পাঠানোর ঠিকানা : jibonoshomaj@gmail.com ] 

[দৃষ্টি আকর্ষণ: যদি মনে করেন এমন কোন আলোকিত ব্যক্তিকে নিয়ে আমাদের জীবন ও সমাজের অনলাইন ম্যাগাজিনে বিশেষ ফিচার করা যেতে পারে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা সেই ফিচার করে তার আলো ছড়াবো, যাতে অন্যরাও সেই ব্যক্তিত্বের আলোয় আলোকিত হতে পারে। 

 আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : jibonoshomaj@gmail.com] 

[পাঠকদের  দৃষ্টি আকর্ষণ:  করোনাকালে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের এমন কোন অগ্রণী ভূমিকা কি ছিল যা নিয়ে জীবন ও সমাজ-এ ফিচার করা যেতে পারে। তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন : jibonoshomaj@gmail.com]  



Post a Comment

Previous Post Next Post