কোজাগর: প্রকৃতি ও মানবীয় সম্পর্কের এক উপাখ্যান


কোজাগর: প্রকৃতি ও মানবীয় সম্পর্কের এক উপাখ্যান

‘একই মানুষের মনের মধ্যে কত বিভিন্ন মানুষ বাস করে এবং বাস করে বলেই মানুষের কোন সম্পর্কই পরম ও চূড়ান্ত সম্পর্ক নয়। সমস্ত সম্পর্কই অসম্পূর্ণ। শরীর অথবা মন কিছুমাত্র বাকি না রেখে অন্যকে দিতে চাইলেও অন্য মানুষকে কখনই চূড়ান্তভাবে পাওয়া হয়ে ওঠে না। ফাঁক থাকেই। বাকি থাকে কিছু্। এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোণে-কোণে কোটি-কোটি পুরুষ হয়তো তার জীবন সাথীকে পরিপূর্ণ করতে চাইছে। মনে হয়, এই পরিপূর্ণ করে পাওয়ার কামনাটাই ভুল। কেউ অন্যকে পরিপূর্ণ করে পেতে পারে না। আমরা আমাদের এক সামান্য অংশকেই মাত্র অন্যকে দিতে পারি। সে বন্ধুই হোক, শক্রই হোক বা প্রেমিক হোক। আমাদের একাকীত্ব সম্পূর্ণতা পায় শুধু প্রকৃতিতেই, ভগবৎ বোধে।” তাইতো মানুষকে জানার শেষ নেই, জানার সাথে-সাথে মানুষকে চেনাও চলমান একটার প্রক্রিয়া মধ্যে চলে।

“সখ্যতা বা বন্ধুত্ব কোন নারীর মধ্যেই তুমি কখনও পাবে না। তা ভুল করে খুঁজতে যেওনা কখনও। কারণ নারীদের হৃদয় আধাপোষমানা শেয়ালনীদের মতো। কোন নারীই কোন পুরুষের পুরোপুরি বশে থাকে না, কখনও পোষ মানে না, নারীদের স্বভাবের গতির বিস্ময়ময় বিপন্নতা। অথবা নিঃসংশয় নিরাপত্তা।” তাই নারী রহস্যময়, রহস্যের দুনিয়ার অংশ। প্রথম ভোরের মতোই নারীরা, তারা হাওয়ার মতো, তাদের ধরা যায় না।


Post a Comment

Previous Post Next Post