দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সমবায়ী কিছু কথা


দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সমবায়ী কিছু কথা



পিটার পল গমেজ:  একটি ধান হিসেবে বপন করলে চারা গজায়। সেই চারাটি ৩ বা ৪ মাস সঠিক পরিচর্যা করলে ছরায় ৩০/৩৫টি ধার উপহার দিবে, কোন সন্দেহ নেই। পরিশ্রম ও কষ্টার্জিত ফসল গোলায় ভরে কৃষক খুশীমনে ঈশ্বরের মহিমা ও প্রশংসার মাধ্যমে আত্মতৃপ্তি লাভ করে সুখী জীবন যাপনে অভ্যস্ত। বাল্যকালের ধর্মশিক্ষা “প্রতিবেশিকে ভালোবাসো”- পরোপকারী মনোভাব সৃষ্টিতে প্রভাবিত করে ও অনুপ্রেরণা যোগায় পরবর্তীকালীন দুঃখীজনের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে যেতে ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে  দিতে।

বাস্তবিক অর্থে কালের পরিবর্তনে সমাজের কতিপয় শিক্ষিত যুবক-যুবতি অতি সহজেই সমাজ নেতা ও ধনী হওয়ার মনোবাসনা বা তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দলীয় পর্যায়ে অঢেল টাকা খরচ করে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ করলে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় না।  কিন্তু তা কি হওয়া উচিত কি না তাই ভাববার বিষয়, তাই নয় কি? আসুন এ বিষয়ে নিজেরাই অনুধ্যান করি। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, সমবায় সমিতিগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ গরিবদের সকল জমাকৃত মূলধন নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় যা সমবায় নীতিবিরুদ্ধ। মূলকথা হলো, বর্তমানে ব্যক্তিস্বার্থ অনেকাংশেই প্রাধান্য পাচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। সমবায় সমিতি যেন কারো আকাঙ্ক্ষা বিজয়ের মঞ্চ না হয়, বরং তা যেন হয় গরিব-দুঃখীদের যোগানদাতা ও বিপদে সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠান হতে পারে। সমবায় সমিতিগুলো এর নিজস্ব প্রকৃতি ও সেবার মধ্যদিয়ে ওয়ে উঠুক সেবাপ্রদানকারী একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান ।

লেখক: সমবায় মাঠকর্মী
ঢাকা থেকে

Post a Comment

Previous Post Next Post