সংগ্রামী মানব : মহান স্রষ্টার এক বিশেষ সৃষ্টি এই বিশ্বভ্রমান্ড। যার রয়েছে অসংখ্য সুন্দর্যময়তা। সবদিকেই যেন মায়াজালের হাতছানি। এই সুন্দর পৃথিবী জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন কর্মলীলা। কত কিছুই না ঘটছে প্রতিনিয়ত। কিছু জানা আবার কিছু অজানা। কত বর্ণ-বৈচিত্র, কত ভেদাভেদ, দমন-পীড়ন, শোষন নির্যাতন। কোথাও যেন শান্তি নেই। প্রত্যেকটি দেশই তাদের নিজেদের অবস্থানে রয়েছে অনড়-অবিচল। কোন প্রকার বাচ-বিচার ছাড়াই সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানাচ্ছে। কে কত শক্তিশালী তারই জানান দিচ্ছে অবিরত। কেউ বলছে আমার রয়েছে অসংখ্য গোলাবারুদ, আবার কেউবা বলছে আমার আছে পারমানবিক অস্ত্রাগার। কারও আছে বিশাল বাহিনী, কারও বা হাত শূন্য তবে রয়েছে বুক ভরা ভালবাসা। বর্তমানে একজন আরেক জনকে বলছে, তোকে আমি দেখে নিব। আজ থেকে তোর জন্য আমার আকাশ পথ বন্ধ, চলবেনা আর কোন কুটনৈতিক সংলাপ। আজ থেকে তুই আমার শত্রু। এই রকম সংঘাত নেতা নেত্রীদের মধ্যেই অন্তর্গত নহে বরং প্রত্যেকজনই মানুষই একই মনোভাবাপন্ন। প্রাচীনকালের সংঘবদ্ধতা এখন নেই বললেই চলে। কেউ কারও উত্থানকে সহজে মেনে নিতে চায় না। একজন আরেকজন থেকে বড় পর্যায়ে যাবে সেটা কারও সহ্য হয় না। এখন ভাই তার ভাইকে বলছে, তুই একটা অমানুষ, তোর জন্ম না হইলেই ভাল হতো। যে এই কথা বলছে তার মধ্যে রয়েছে ধনসম্পত্তি গ্রাসের অসার লোলপতা। বর্তমান বিশ্বভ্রমান্ড স্রষ্টার সৃষ্ট বিশ্বভ্রমান্ড থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আর এই আলাদাকারী হলাম আমরা মানবেরা। যখন মানুষ জানতনা টাকা মানে কী?, সহায়-সম্পত্তি, অর্থাবিত্ত মানে কী? তখনই ভালো ছিল। তখন হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি-রেষারেষি এগুলো কিছুই ছিলনা। সবাই বলত এই বিশ্বভ্রমান্ড আমাদের। আর এখন তার বিপরিত। এখন একেকজন বলে, এই বিশ্ব আমার একার সম্পত্তি, এখানে আমি ছাড়া আর কেও থাকতে পারবে না। তাই সবাইকে মরতে হবে। বেঁচে থাকব শুধু আমি। শুধুই আমি। একি পরিনয়, মনে হয় আজই দেহ থেকে হৃদয়টি বের করে স্রষ্টাকে দিয়ে বলি, এই নাও আমার হৃদয় আমি আর বাঁচতে চাই না। কোথায় যাব আমি, কোথাও তো নেই মায়া-মমতা, ¯েœহ-ভালোবাসা, স্বাধীনতা। একজন মানুষ অন্যজন মানুষকে খুন করার জন্যে উঠে পরে লেগেছে। এমনও দেখা যাচ্ছে মানুষ মানুষকে মারার জন্যে বিষাক্ত ভাইরাস তৈরি করছে। যেই ভাইরাস ঐ একজন মানুষকে মারবে না বরং লক্ষ্য কোটি মানুষের তাঁজা প্রাণ কেঁড়ে নিবে। তার চাক্ষুশ প্রমাণ বর্তমান করোনা ভাইরাস। ইতোমধ্যে খুনি ভাইরাসটি লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষকে খুন করেছে।
সাধারণ মানুষেরা এই ভাইরাসের তান্ডবে প্রতিদিন বলি হচ্ছে। এটা তো ভাইরাস নহে, এটা তো খুনি। যারা মারা যাচ্ছে তাদের দোষ কোথায়?। তারা তো সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষ। তাদেরকে এই খুনির দ্বারা খুন করা হচ্ছে। এর বিচার কে করবে?। কোথায় পাবে তারা নায্যতা?। কীভাবে তাদের আত্মা শান্তি পাবে? খুনি ভাইরাসটি তো এমনি এমনি তৈরি হয়নি বা হতে পারে না। কোন কিছু তৈরির পেছনে কারও না কারও হাত তো নিশ্চয়ই থাকে। তবে কে এই খুনিকে জন্ম দিল?। নিশ্চয়ই কোন মানব বা মানবেরা। এই খুনির জন্ম দাতাগণ এখন কোথায়?। তারা আজও লোকচক্ষুর অন্তরালে। তাদরেকে কেউ ছুঁতে পারবেনা। কারণ তারা পারমানবিক শক্তিধর। তাদের রয়েছে সুবিশাল সৈন্য-সামন্ত, যুদ্ধজাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার, কামান গোলাবারুদ আরো কতো কি!। কিন্তু যারা মারা যাচ্ছে তারা তো সাধারন মানুষ। তারা তো নিরপরাধ। তাদের ওগুলো কিছুই নেই বরং আছে বুকভরা ভালোবাসা, মুখভরা হাঁসি। তবে কেন খুনিদের বিচার হবেনা?। কেন মৃতেরা ন্যায্যতা পাবে না?। পারমানবিক শক্তিধর বলেই যা ইচ্ছে তাই করবে। এখন করোনা ভাইরাস, দুদিন পর সরোনা ভাইরাস,পরে আরও কত কি ভাইরাস আসবে কে জানে। তাই আমি বলি, আমি গরীবের বন্ধু। গরীবেরা মৃত নয়। গরীবেরা নীরব কেননা তাদের আছে সরলতা, কেননা তাদের আছে মায়া, মমতা ও বুকভরা ভালোবাসা। কিন্তু এখনই সময় গরীবের জেগে উঠার। এখনই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে। নিজেদেরকে বাচাঁতে হবে। নতুবা গরীবের আগামী দিনগুলো হবে আরও দুর্যোগময়। তাই এসো একই স্লোগানে মুখরিত হই,
সংগ্রাম সংগ্রাম, ন্যায্যতার সংগ্রাম, স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম।
সংগ্রাম বিশ্বভ্রমান্ডকে রক্ষার সংগ্রাম
সংগ্রাম গরীব-দু:খী ভাই বোনদের আত্মমর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম।