গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, বিষাক্ত করোনা ভাইরাস পর্ব ৪

রত্না বাড়ৈ হাওলাদার : আজ TV N 24 খুলতেই নজরে আসে, কোভিড 19 এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যুমের মাধ্যমে একটি টক শো। যেটি ছিল একজন বিশেষ ব্যক্তিকে ঘিরে এবং বিশেষ একটি টপিক্স নিয়ে । অবশ্য করোনাভাইরাস শব্দটি শুনতেই যেন থমকে বসে গিয়েছিলাম টিভি সেটের সামনে । ১৯৬০ সালে এই ভাইরাসটি আবিষ্কার করা হয়েছিল বটে, কিন্তু ১৯২০ সালে ইহা উৎপত্তির কারণেই, নভেল করোনাভাইরাস নামে এটি পরিচিত ।
বাংলাদেশের একজন কৃতী সন্তান ওনার সাক্ষাৎকারে উনি যা কিছু নিজের সম্পর্কে জানিয়েছেন আমি শুধু কপি করে আমার লেখাটির মধ্যে তুলে ধরেছি । ওনার সম্পর্কে লেখার একমাত্র কারণ হচ্ছে যে, উনি করোনা ভাইরাসের একটি ঔষধ তৈরী করেছেন অতি সহজভাবে । ঘরোয়া উপাদান দিয়ে । উনি আরো বলেছেন উনি বারো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সত্যি বিস্মিত হয়েছি । তিনি হলেন গবেষক ডঃ শানূরে আজিজ । বর্তমানে তিনি ইয়োরোপের ইতলিতে বসবাস করছেন । ওখানে তিনি সরকারের বিশেষ একটি পদে অধিষ্ঠিত থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। আরো বলেছেন তিনি বাংলাদেশের "ওরস্যালাইন" আবিষ্কারক । ব্যাখ্যা দিয়ে বলছেন রেসিপিটি ছিল, সামান্য এক চিমটি লবণ, এক চিমটি গুড় অথবা চিনি এক গ্লাস ফুটানো ঠাণ্ডা পানি অথবা পরিস্কার পানির সঙ্গে মিশ্রণ করে পান করলে ডায়রিয়া রোগের মতো একটি কঠিন অসুখ থেকে একেবারেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যা কিনা যুগ পর্যায়ে প্রতিফলিত হয়ে আসছে । সত্যি ভাবতে অবাক লাগে যে, তিনি কতটা সহজভাবে ডায়রিয়ার এই প্রতিরোধকটি আবিষ্কার করেছিলেন। সেই নিত্য দিনের খাদ্য তালিকায় থাকা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রীর মাধ্যমে তৈরী করা (ঔষধ) যেটি ছিল "খাবার স্যালাইন ওয়াটার"। "ওরস্যালাইন" নামে পরিচিত । তাছাড়া রয়েছে বাংলার আপামর জনগণের প্রতিটি ঘরে ঘরে নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে । বাংলাদেশের প্রাণ প্রিয় জনসাধারণকে ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে মুক্তিলাভের একটি চমৎকার ওষধির একটি মূল্যবান রেসিপি থেকে তৈরী করা ঔষধ ওরস্যালাইন। কিন্তু একটু কনফিশনে পড়ে গেলাম । যা হলো গুগলে যখন সার্স করলাম সেখানে দেখতে পেলাম "অন্য আরেকটি নাম ওরস্যালাইনের অন্যতম আবিষ্কারক প্রয়াত ডা: রফিকুল ইসলাম" । সত্যি একটুখানি চমকিত হলাম। ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়াল । কেননা সেই দিন উপস্থাপিকার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন এই বিশালতর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত বলা বিষয়গুলোর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন তারতম্য হতে পারে না । লুকোচুরি থাকতে পারে না । যা হোক্ আমি পাঠক শ্রোতাদের উপড়েই বিষয় ভাঁড়টি ছেড়ে দিলাম ।
যাহোক্ পরম শ্রদ্ধেয়, মেধাবী, গুণী ব্যক্তি, সোনার বাংলার সেই সোনার ছেলে গবেষক ডঃ শানূরে আজিজ আজ "গ্যারান্টি দিয়ে বলছেন"। তিনি পুনরায় আবিষ্কার করতে যাচ্ছেন। সেই মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জগত বিখ্যাত সর্বজন আকাঙ্খীতো সেই মহা ঔষধ । যা কিনা বিভিন্ন দেশে আবিষ্কারের প্রয়াসে অনেক প্রচেষ্টা ও গবেষণা চলছে । সত্যি আবারও ভাবতে অবাক লাগছে যে, সেই নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় একই ঘরোয়া সামগ্রী দিয়ে বাঙালি রন্ধনকৃত মশালার সংমিশ্রণে একটুখানি ভিন্নতর পদ্ধতিতে রেসিপির মাধ্যমে তিনি করোনাভাইরাসের ঔষধ তৈরী করছেন । যেমন:- হলুদ গুড়ো ১/২ চা চামচ, গোলমরিচ গুড়ো ১/২ চা চামচ, আদা গুড়ো ১/২ চা চামচ সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে এক লিটার পানি পাঁচ (৫) মিনিট চুলোয় জ্বালাতে হবে । অর্ধেকটা দিয়ে ভাপ নিতে হবে। অবশ্য মাথার উপরে একখানা টাওয়াল জড়িয়ে ভাপ নিলে ভালো । তাতে করে বাস্পটা সরাসরি নাকে মুখে প্রবেশ করতে পারবে । বাকী অর্ধেকটাতে আরো কিছুটা লেবুর রস এবং মধু, সঙ্গে চাইলে গ্রীন টি মিশিয়ে একটু ভিন্ন স্বাদে প্রতিদিন সেবন করলে ভাইরাসটি অকালেই দমন হবে । ভিতরে গিয়ে আর মারাত্মক আকার ধারণ করে কোন ক্ষতি করতে পারবে না । সমস্ত রিসার্চ থেকে একটি কথাই বলা হচ্ছে যে, ভাইরাস প্রথমেই গলায় অবস্থান করে । সেখানে চার দিন থাকা অবস্থায় গলার সেল্ কে ভেঙ্গে দিয়ে সে তার প্রতিনিধি তথা তার বংশ বিস্তার করে । এর পরে ফুসফুসে প্রবেশ করে । যেন দেহকে বলে সোলজার পাঠাও। কিন্তু সোলজারগুলো লিকোয়েট হিসেবে শরীরের ভিতরে ঢুকে যায় । তখন আর অন্য কিছু বলার বা করার কোনই সুযোগ বা সময় থাকে না। আর তখনই এই লিকোয়েট (Formation) পাকাপোক্ত হয়ে হার্টে গিয়ে (solid form) আসল রূপ ধারণ করে। এইভাবেই করোনাভাইরাস আক্রমণে ফুসফুসকে (Break down) করে । যার কারণে অক্সিজেন এবং নাইট্রোচজন (Transmit) সংযুক্ত করতে পারে না । সেই কারণেই হার্টকে (Blood circulation) রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করতে পারে না । এমতাবস্থায় যতই ভেন্টিলেশন দেয়া হোক্ না কেন তাতে কোনোই লাভ হয় না । যেহেতু তখন লাংক অলরেডি পানিতে ভরে যায় । তখনই আক্রান্তকে নিজের ঘরের চাবি পরের হাতে তুলে দিয়ে, তাকে চলে যেতে হয় তার আসল ঠিকানায় জানা কথা ভাইরাস যখন গলায় প্রবেশ করে তখন সেখানে চারদিন অবস্থান করে । ঠিক ঐ সময়টিতে যদি এই রেসিপির (Ingredient) মজ্জাগুলো সেবন করা বা ভাপ নেওয়া হয়। তাহলে ভাইরাসেটির জীবিত অবস্থানের আর কোন সুযোগ থাকে না । কোনভাবেই সম্ভব হয় না । বেঁচে থাকার প্রশ্নই ওঠে না । শুরুতেই বিনাশ হয়ে যায় । তখন সকলেই সেই মর্মান্তিক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে । যেমন:--
*গোল মরিচ কি করছে? =দেহের (Spirituous) পরিস্কার করছে । 
*আদা কি করছে? =পাম্পিং করে দেহ থেকে ফ্লুইড বের করে দিচ্ছে। ফ্লুইডকে (Solid) শক্তিশালী হতে দিচ্ছে না । 
*হলুদ কি করছে ? =ভাইরাস দেহের যে সেল্গুলোকে (Break down) করছে । হলুদ পিছন দিক থেকে সেই সেলগুলোকে (Repair) পরিশুদ্ধ করে যাচ্ছে। মোট কথা হলুদ (Antibody) হিসেবে কাজ করছে । 
*লেবু কি করছে ? = আপনার ভিতরে যে সমস্ত (Irruption) করছে। লেবু তথা ভিটামিন সি এর কারণে সেই (Irruption) গুলো বন্ধ করে দিচ্ছে । অতএব মেশানো রেসিপির সমস্ত (Ingredient) মজ্জাগুলো পানিতে ফুটিয়ে বা জ্বালিয়ে যে অম্লরস তৈরী করা হয় । তা সেবন করে এবং স্টিম নিয়ে, শরীরের ভিতরে প্রবেশ কৃত করোনাভাইরাসের জীবাণুগুলো ধ্বংস করছে। উপরন্তু শরীরের সেলগুলো অতি দ্রুত তখন (Built in) করে ফেলে । আসলে সত্যি কথা বলতে কি নিউইৰ্য়াকের করোনাভাইরাস আক্রমণের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছিল । ধ্বংস নেমেছিল । বলতে হবে যে, সেই পরিমাণে যদি বাংলাদেশে আক্রান্ত হতো, তাহলে বাংলাদেশের প্রায় ৩ (তিন) ভাগের ২ (দুই) ভাগ জনসাধারণ প্রাণ হারাত। মৃত্যুমুখে পতিত হত। বলতে হবে কোনভাবে রক্ষা করা সম্ভব হত না । খুঁজে পাওয়া যেত না । তবে প্রত্যক্ষভাবে চিন্তা করলে, ব্যাপারটি যেন একেবারে স্বচ্ছ । বুঝতে এতটুকু কষ্ট হবার কথা নয়। কেননা বাংলাদেশ সেই পরিস্থিতির স্বীকার থেকে রক্ষা পাবার একমাত্র কারণ হচ্ছে, এই রেসিপির (Ingredient) মজ্জা সমুহ। কারণ বাংলাদেশের মানুষ তাদের নিত্যদিনের খাদ্যদ্রব্য তৈরীর সংমিশ্রণে মিশ্রিত জীবন রক্ষাকারী এই গোলমরিচ গুড়ো, হলুদ গুড়ো, আদা গুড়ো, লেবু, মধু ইত্যাদি আরো হরেক রকমের মসলা বাঙালিরা তাদের খাবারের তালিকায় প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকে । লজিক আছে বটে । তাই গ্যারান্টিতে বলছি । 

সকলের প্রতি অনুরোধ রইল । রেসিপিটিকে সম্মান করুন । নিয়ম মেনে চলুন । মাস্ক ব্যবহার করুন । সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন । সামজিক দুরত্ব মেনে চলুন ।



Post a Comment

Previous Post Next Post