লক ডাউন, বিষাক্ত করোনা ভাইরাস পর্ব ৩

রত্না বাড়ৈ হাওলাদার : "লক ডাউন" বৈশ্বিক কভিড 19, এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি । চতুর দিকে বদ্ধ নিস্তব্ধতায় থমথমে ভাব। থর থর করে কাঁপছে পুরোটা বিশ্ব । যেন মৃত্যু মিছিল । সবার মধ্যে আতঙ্ক প্রতিফলিত হচ্ছে। মুখে মুখে শুধু ঐ একটিই নাম করনা ভাইরাস । আইন করা হয়েছে । দশজনের অতিরিক্ত কোন সমাবেশ হতে পারবে না । তথা ছয় ফিট দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে । অন্যথায় লংঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা যেমনটি ফাইন অথবা হতে পারে জেলের কঠিন শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে । এই পেন্ডামিক সময়ে সকলেই যেন ইষ্টনাম জপ করছে। ইহা ব্যতিরেকে আর যে কোন উপায় নেই । কেননা সৃষ্টিকর্তার মাইর দুনিয়ার বাইর। আর সেই কারণে প্রার্থনা নামক শেষ অস্ত্রটি জগতের আস্তিক মানুষগুলোর নিকটে বিরাট একটি অন্তরায়। তাছাড়া যেন একটি নিয়মের মধ্যে পড়ে গিয়েছে । আমি- তুমি- সে। যেন প্রত্যেকের ভিতরে একটি পরিবর্তন ভাব চলে এসেছে । কথায় বলে উপায় নেই গোলাম হোসেন !! তবে কতক্ষণ এই চেতনা থাকবে ? নাকি এই ক্রান্তিকাল পাড় হতেই যেই লাউ সেই কদু বোনে যাবে কে বলতে পারে....তবে প্রার্থনায় অনুরোধ করছি সৃষ্টিকর্তার নিকটে, তিনি যেন সকলের ভিতরে প্রবৃত্তি জাগ্রত করেন ।


লকডাউন চলাকালীন সময়ে, এই তিনটি মাসে সৃষ্টিকর্তা কত কিছু যে অনুভব করতে সুযোগ করে দিয়েছেন, বলে শেষ করা যাবে না । সবার ঘরে শুধু টিভির শব্দ ভেসে আসছে । চব্বিশ ঘণ্টা শুধু খবর আর খবর । কতজন আক্রান্ত হচ্ছে । কতজন মারা যাচ্ছে ।হাসপাতালগুলোর অবস্থা কি? ঘর বন্দী এই ক্রান্তিকালে সরকার কতটুকু সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে ? কারা পাচ্ছে, কারা পাচ্ছে না ? কে আন-এমপ্লয়মেন্ট করতে পারছে, কে পারছে না ? কারো মনে আনন্দ বিরাজ করছে । আবার কেউ হতাশাগ্রস্ত হয়ে দিনাতিপাত করছে । তবে বাংলা টিভি চ্যানেলকে ধন্যবাদ করছি, তাদের মাধ্যমে প্রত্যেককে যেন সমস্ত আইন-কানুন সব ঘরে বসে শিখিয়ে দিচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞগণ। কিন্তু অসহায় জনগণের প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছিল যেন একটি হিড়িক পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা । শুধুই একটি মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতরণ ঘটে যাচ্ছিল, দুইয়ের মধ্যে তারতম্যের ব্যবধানে...। তাইতো ভাবনায় চলে এসেছে হয়তো কারো ঘর পুড়ছে আবার কেউ খই খাচ্ছে ।

ভালোই তো নিশ্চিতে ঘরে বসে বেতন পাচ্ছে...! প্রতি সপ্তাহে বেতনের অর্ধেকটা, সঙ্গে ছয়শো ডলার এক্সট্রা...! আবার জনপ্রতি স্ট্যামুলাস বারোশো ডলারের চেক্ ব্যাংকে জমা হচ্ছে । যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি । তবে কথা আছে ট্যাক্স ফাইল করেছে, লিগাল কাগজ যাদের রয়েছে শুধু তাদেরকেই এই সোনার হরিণটি ধরা দিয়েছিল । কিন্তু যাদের এই মূহুর্তে কোন ডকুমেন্টস্ কিছুই নেই, তাদের পরিণতি সত্যি ভীষণ দুর্বিষহ । আরো কথা আছে যাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে । তাদেরকে পুঁজি অনুসারে ছয় হাজার ডলার থেকে শুরু করে শুনেছি দুই মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনা সুদে ঋণদানে প্রতিশ্রুতি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন আমেরিকান সরকার । তাছাড়া নোঙ্গর খানাগুলো যথাসাধ্য মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে, দিচ্ছে। সাহায্য সংস্থা অসহায় ইলিগেল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রাণপন চেষ্টা করছে ওই অসহায় মানুষগুলো যেন সরকারের কোন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় । ট্রেন, বাস সমস্ত লোকাল যানবাহনের ভাড়া সকলের জন্য ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে ।

এছাড়া আরেকটি বিষয় ভীষণভাবে প্রশংসার দাবি রাখে যেটি ছিল "প্রার্থনা" । ধর্ম ব্রতচারিগণ তাঁরা যে, ধর্মেরই হোক্ না কেন ? যুমের মাধ্যমে ঈশ্বর, আল্লাহ্, ভগবানের আরাধনায় রত ছিলেন। ধর্ম বিশ্বাসী সেই ভাই বোনদেরকে একসঙ্গে যুক্ত করে । খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্ম যাজকগণ অনেকেরই এমন অবস্থা হয়েছে যে তারা দিন রাত চব্বিশ ঘন্টায় মাত্র দুই কি তিন ঘন্টা ঘুমিয়েছেন। বিশ্রাম নিয়েছেন । অন্য সময়গুলো শুধু ঈশ্বরের পবিত্র বাণী প্রচারে অবিরত ব্যস্ত থেকেছেন । পবিত্র বাইবেলের বাক্য বিশ্বাসীদের নিকটে বিভাজন করেছেন । আর এই সময় বিশ্বাসীরাও যেন ভীষণভাবে পিপাসিত ছিল । পাগল প্রায় হয়ে তাদেরও খাওয়া ঘুম বন্ধ করে দিয়ে, কখন যুমে অংশ গ্রহণ করবে সেই অপেক্ষায় থাকত । প্রায় প্রত্যেকেই তখন প্রতিদিন চার পাঁচটি যুমে অংশ গ্রহণ করেছে । আশ্চর্য্যের ব্যাপার প্রতিটি আত্মাকেই যেন সেই ঈশ্বরের বাক্য মধুর বাক্য জীবনদায়ী বাক্য হৃদয় স্পর্শ করেছিল । তবে এটাও সত্য মানুষ যখন বিপদ গ্রস্ত হয়, তখন তারা সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হয়। তাঁর কাছে ছুটে আসে । নিজেকে সঁপে দেয়। কিন্তু পরক্ষণেই যখন মুস্কিল আসান হয়ে যায় । তখন যেই লাউ সেই কদু। সব কিছু ভুলে গিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করবার সময়টুকু পর্যন্ত তাদের থাকে না। তবে প্রত্যক্ষ একটি ঘটনা বিশ্বাসীদের বিশ্বাসকে যেন আরো দৃঢ় প্রত্যয়ী করে দিয়েছে। যেটি ছিল ওই সময়ে ২০ জন খ্রীষ্টবিশ্বাসী একসঙ্গে অবগাহনের মধ্য দিয়ে তাদের মুক্তিদাতা ত্রাণকর্তাকে গ্রহন করেছে।

একদিন একটি যুমে একজন ভগিনী প্রচার করছিল যেন মুগ্ধ হয়ে শুনেছিলাম। সে বলছিল, করোনা ভাইরাস পৃথিবী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের তুলে নিচ্ছেন। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে ? আমরা সন্তান-সন্ততিরা আমাদের পিতা-মাতাদিগকে অবহেলা করছি । তাঁদেরকে সেই পরিত্যক্ত বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে রেখে দিচ্ছি। কোন খোঁজ খবর নেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না । সেই কারণেই সৃষ্টিকর্তা বোধ করছি পৃথিবী থেকে তাঁদেরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন । লকডাউনের এই ক্রান্তিকালে বহু হৃদয় বিদারক অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ঘটনাও ঘটেছে..! সব কিছু নিয়ে লিখতে গেলে একটি বই লেখা হয়ে যাবে । যা বলছিলাম, লকডাউনের সময়ে আমরা অনেক স্বজনদের হারিয়েছি। কেউ হারিয়েছে স্বামী অথবা স্ত্রীকে। কেউ হারিয়েছে মা বাবাকে । কেউ বোন অথবা ভাইকে। কেউ হারিয়েছে আত্মীয় স্বজনদের । যেটি কিনা কোন কিছুর বিনিময়ে শোধরানো সম্ভব নয় ! করোনা ভাইরাস, কভিড 19 মরণঘাতি একটি ব্যাধি যা কিনা সমস্ত বিশ্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল এর ভয়াবহতা কত দুর... কত ভয়ংকর । বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার জন্য ভীষণ কষ্ট সাধ্য একটি ব্যাপার ছিল। যেমন একদিকে বিভীষিকাময় করোনা ভাইরাসের মহামারী অন্য দিকে ভয়ঙ্কর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, সেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডব লীলায় দুটো দেশই ধংশবিদ্ধস্ত একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । টেলিভিশন সংবাদে সার্বক্ষণিক ভাবে প্রচারিত হচ্ছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের ওই প্রপাকাণ্ডের মর্মস্পর্শী ভিডিও চিত্রগুলি । উনুঁ... ভীষণ হৃদয় বিদাৱক, অশ্রু সজল চোখে শুধু তাকিয়ে দেখছিলাম । নিজেকে সামাল দিতে বড্ড বেশী কষ্ট হচ্ছিল । করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে যেখানে কিনা ঘরের মধ্যে কোয়ারাইটেনে থাকতে বলা হয়েছে । সেখানে কিনা ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আপামর জনসাধারণের মাথার উপর থেকে ছাদটুকু পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। শুধু তাকিয়ে দেখা ব্যতিরেকে আর কিছুই করার ছিল না অসহায় ওই মানুষগুলোর । "একেই বলে সৃষ্টিকর্তার লীলাখেলা", বোঝা বড় দায়....।

আবার মরণঘাতী করোনা ভাইরাসকে যেন একদল দুষ্টেরা কোনভাবে পাত্তাই দিতে চাইল না । উপরন্তু গরীবের সাহায্যের চালগুলো পর্যন্ত চুরি করে আত্মসাত করে নিল । কি প্রবৃত্তি ভাবা যায় ? এগুলো যখন সংবাদের শিরনাম হয়ে আসে ? সত্যি লজ্জায় যেন মাথা নীচু হয়ে যায় । এতটুকু মৃত্যু ভয় পর্যন্ত এদের নেই...! আঃহা, চোখের সম্মুখে জীবন্ত প্রাণগুলো কিভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে । এক নিমেষে বিলীন হয়ে যাচ্ছে । তার পরেও যেন চেতনার বালাই নেই । তাই তো ভীষণ ভাবিয়ে তোলে, প্রশ্ন জাগে-মনে ? তবে কি এদের শরীরের গহ্বরে "ছুঁইসাইড বোম" লুকিয়ে রয়েছে ? আবার একদিন সংবাদে শুনছিলাম সমুদ্র সৈকত খুলে দেয়া হচ্ছে। যতটা সম্ভব এদেশীয়দের আনন্দ উল্লাসের কারণে। তবে মেমোরিয়াল ডে তে নিউইৰ্য়াকে তথা অন্যান্য স্টেটে খুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল । কভিড 19 এ প্রায় 1,1 বিলিয়নের উপরে মানুষ চাকুরি চ্যুত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । ইউনিভার্সিটি অব কলম্বিয়ার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে। পূর্বে সচেতনতা অবলম্বন করা হলে, আমেরিকার মত সর্ব বৃহৎ এই দেশটিকে এত বড় একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতোনা । মৃতু দেহ গণনায় এক নাম্বারে পৌঁছাতে হতো না । সত্যি বলতে কি ঘটে যাওয়া এই নিষ্ঠুরতার স্বীকার বসবাসকারীদের নিকটে এটি যেন অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতই ছিল। লাটসাহেবদের ভাবসাবে বলতে ইচ্ছে করছে, সমুদ্রে যখন ঝড় ওঠে তখন সমুদ্রের তলদেশ থাকে শান্ত । অনুভূতির প্রকাশ যেন কিছুটা এমনটিই ছিল বলে অনেকের ধারণা ।

আবার জর্জ ফ্রয়েডের শ্বাসরুদ্ধ কর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে একাধারে প্রতিবাদী মহল, অন্যদিকে দুর্বৃত্তের হামলায় সাড়া দেশে লুটপাট ভাঙচুরে মনে হচ্ছিল যেন দেশে রায়ট লেগে গিয়েছে । কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। যে নিউইৰ্য়কের বাতি কখনো অস্তমিত হয়নি । কিন্তু আজ যেন সেই নিউইৰ্য়াক ঘুমিয়ে পড়েছে । আসলে সত্যি কথা বলতে কি ? ভুল করলে তো তার মাসুল দিতে হবে বৈকি । তা যে-ই হোক না কেন...। আবার মাঝে মধ্যে একটু আধটু ফান না হলে পরিবেশের ভারসম্য যেন বিগ্রে যায় । তাইতো বলছিলাম, কোন একদিন টিভিতে একটি সংবাদ প্রতিবেদনে নিজের হাসিটাকে যেন চেঁপে রাখা সম্ভব ছিল না । লকডাউন চলাকালীন সময়ে মিস্টার প্রেসিডেনট ডোনাল্ড ট্রাম মিশিগান স্ট্রেটে ভিজিটিং এ গিয়েছিলেন । সেখানে তিনি মাস্ক ব্যবহারে অস্বীকৃতি প্রকাশে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন তাঁকে হতে হয়েছিল । ধাক্কা সামলাতে গিয়ে, এক পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন । মাস্ক পরিধান করে গণমাধ্যমকে তিনি লজ্জায় ফেলতে চাননি । যেখানে কিনা সাড়া বিশ্ব ব্যাপী মানুষ মাস্ক পড়ে জীবনযাপন করছে...! আবার শুনতে পেলাম । স্বপ্নের দেশ এই আরিকায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গৃহহীন হোমলেসদের (ভিক্ষুক) বাসস্থানাধীন সেই হোমলেস সেন্টারগুলোতে জায়গা সংকুলানের অপ্রতুলতায় আমেরিকার বিশাল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসিক হোটেলগুলোতে তাদেরকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । দিস ইজ আমেরিকা। একেই বলে সংবৃদ্ধশালী দেশ । মনটা যেন ভরে গিয়েছিল । তবে আবার অনেকের জীবন যাত্রার হালচাল দেখে শুধু চিন্তায় আসে ভাবনা হয়, জীবদ্দশায় এখন শুধু এরা ভুলের মাশুল গুনছে এবং গুনবে বলে আমার ধারণা । লক ডাউন পূর্ণ এই সময়ে হঠাৎ বাংলাদেশে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সংবাদে হৃদয়টা যেন বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছিল । শুনেছি কারেন্টের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বাবা এবং পনের বছরের ছেলে "স্পট ডেড"। সেকেন্ডের মধ্যে শক্তিশালী প্রাণ দুটো বের হয়ে চলে গেল । ওদিকে মা ওই দুজনকে বাঁচাতে গিয়ে সেও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে । পিছনবাগে অন্য ছোট বাচ্চা দুটোকে একজনকে লালন করছে তার জ্যঠিমা । অন্য জনকে তার মামিমা । কি পরিণতি ওই বাচ্চা তথা মায়ের জীবনে । এক দিকে শোকাতুর পরিস্থিতি, অন্য দিকে করোনা ভাইরাস । আসলে সত্যি কথা বলতে কি? উপলব্ধি সর্বদা অনুভূতির মাধ্যমে মর্মস্পর্শীতা দিয়ে থাকে । তাই তো ওরা আজ অনুভব করছে "বাবা নামক বট গাছের ছায়াটি যার মাথার উপর নেই । সেই শুধু বুঝতে পারে রোদের তাপ কতটা প্রখর" । উল্লেখ্য,গত ১১ই মে পর্যন্ত নিউইৰ্য়াক সিটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার ৮০০ জন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার ২৬০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৩০ জনে ছাড়িয়ে গিয়েছে । তার মধ্যে বাঙ্গালাদেশী মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সরকারী ভাবে প্রায় ২০০ শতের উপরে। এছাড়াও প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে । মারা যাচ্ছে । সঙ্গে বাংলাদেশী মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে । জানিনা কতো তে গিয়ে ঢেকবে। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে । এর পরিণতি ?

এই ভাইরাস কখনোও নির্মূল হবে না বলে অনেকের ধারণা । ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুজ্বর, টাইফয়েড জ্বরের মতই সংক্রামিত হয়ে জীবনভর বেঁচে থাকতে হবে এই নশ্বৱ ভুবনে। অসহায় মানব জাতির তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে । তাই তো জগতবাসীকে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে বৈকি...! সোসাল ডিস্টেনস্ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে । মাস্ক গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে । আর সৃষ্টিকর্তাকে নিশ্বাসে বিশ্বাসে স্মরণ করতে হবে। তাঁর আরাধনায় নিজেদেরকে সঁপে দিতে হবে । প্রতিষেধক কবে নাগাদ তৈরী হবে বোধগম্য নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post