তুমি এমন করছো কেন আমি বুঝতে পারছি না। আমি তো তোমাকে তোমার স্বাধীনতার পথে ছেড়েছি। ঠিক তুমি যেমনট চাও তেমনটায় তোমাকে আমি মুক্ত করেছি। কেন শুধু শুধু আমায় মায়ায় জড়াতে চাও? তুমি বলো আমি কি কম চেষ্ট করেছি তোমাকে ধরে রাখার?
অনেক চেষ্টা করেছি। তুমিও চেষ্টা করেছো। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আমি তোমাকে এখনও ভালোবাসি। কিন্তু সেটা রূপান্তর করেছি। আমাদের নিয়তি হয়ত চাইছে না আমারা এক হই।
আমি তোমার কোন দোষ দিচ্ছি না। দোষটা হয় আমার যার জন্য তুমি বার বার এমন ফাঁদে পড়ো। তুমি বলো কেউ কি এমন অবস্থা সহ্য করবে? তুমি নিজেও তো সহ্য করবে না। আমি সীমাহীনভাবে আমার ধৈয্যের পরীক্ষা দিয়েছি। আমি এখনও তোমার সবকিছু মিস করি। করে যাবো।
হয়ত এই জনমে তোমার আমার ভালোবাসার পরিপূর্ণতা পাবে না। কিন্তু রূপান্তর করে তোমাকে আমি এইভাবে আজীবন পাশে পেতে চাই। তুমি যদি কাউকে বিয়েও করো তাতেও আমার কোন দুঃখ নেই। আমাদের দুজনের নিয়তি হয়ত প্রতিনিয়ত আমাদের আলাদা করে রাখতে চায়।
আর এখন তো তোমার প্রিয় ব্যক্তিও বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের সবাইকে অবহেলা করে তুমি আমার কাছে আসতেও পারবে না। আর আসার আর সুযোগ নেই। তাই কেন শুধু শুধু মায়ায় জড়াতে চাও? আমি আগে তোমার পাশে যেমনটি ছিলাম আজীবন থাকবো। কিন্তু আমাদের সম্পর্কের এই নতুন বন্ধুত্বে।
সেইদিনই তুমি আমাদের সম্পর্কের পবিত্রতা নষ্ট করেছো যেদিন তোমাকে বলেছি তুমি আমার আর প্রবেশের মাঝে একজনকে বেছে নাই। তোমার নীরবতাই বলে দিয়েছে তুমি আসলে একটা দ্বিধায় আছো। আর সেদিন আমি তোমাকে বলেছি বাসায় চলে যেতে, প্যারিসে থেকো না। সেখানেও তুমি তোমার স্বাধীনতার খুঁজেছো। যদিও এর আগেও প্রবেশের সাথে একটা সম্পর্কের কারণে তুমি আমাদের পবিত্রতা নষ্ট করেছিলে। সেটা না হয় বাদ দিলাম। এতো কিছুর পরও কোন ছেলে মেনে নিবে তুমি তার সাথে অবাধে যোগাযোগ করো। আর আমার সাথে দেখা হওয়ার আগে তোমাদের এসএমএস ডিলেট করে দাও। এগুলো কে সহ্য করবে। বললে আরো অনেক কিছু বলার আছে। সেগুলো বলে আর এগুতে চাই না।
তুমি কি বুঝবে আমার অবস্থা। আমি কি কঠিন সময় পার করেছি সেটা আমি জানি। বলে বোঝানো যাবো না। অসম্ভব কঠিন সময় পার করেছি। তারপর থেকে তো তুমি জানো আমি তোমাকে তোমার স্বাধীনতার পথে মুক্ত করে দিয়েছি। তারপরও তোমার ভালোবাসার বিন্দুমাত্র পাওয়ার জন্যে তোমাকে আমার বন্ধু বানিয়ে রেখেছি। মা তোমাকে মানসিকভাবে কষ্ট দেয় শুনে আমি মায়ের সাথে কি কি করেছি কল্পনাও করতে পারবে না। মা আমার সাথে কেদে-কেদে কথা বলেছে। কেদে-কেদে আমাকে সরি বলেছে। তোমাকে কেউ কষ্ট দিবো সেটা আমি কোনদিন সহ্য করি না। টাঙ্গাইল থাকতেও মাকে নিয়ে তোমার অনেক অভিযোগ ছিলো। আমি সত্যি দুঃখিত আমার মায়ের জন্য। তুমি আমার মায়ের জন্য তোমার বোনকে সরি বলেছিলে। তারপরও আমার মা বুঝে না।
আবারও বলছি, আমি তোমাকে কোনরূপ দোষারোপ করছি না। আমি শুধু আমাদের ভালো কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। না তুমি কোনদিন পারবে তোমার এই অভ্যেস গুলো থেকে দুরে সরে আসতে, না আমি পারবো তোমার এগুলো সহ্য করতে।
তুমি কোনদিন মনে করো না আমি তোমাকে গুরুত্বহীন মনে করি। আগে যেমন গুরুত্ব দিয়েছি আজীবনও তেমনি গুরুত্ব দিবো। আমি যদি কোনদিন অন্য কারো সাথে দাম্পত্যেও জড়িয়ে যাই সেখানে আমি আমার স্ত্রীকে বলে রাখবো আমার পরিবারের প্রধান তুমি। তাতে সে মানলে মানবে না মানলে নাই। তুমি আমার পরিবারেই থাকবে। আমার পরিবারের প্রধান সদস্য হিসেবে। তুমি এটা অন্যভাবে নিও না প্লিজ। তুমি দেখো আমারা তো দুজন দুজনকে অনেক চেয়েছি। কিন্তু আমাদের নিয়তি আমাদের সাথে সঙ্গ দিচ্ছে না। তুমি একটু এটা বুঝার চেষ্টা করো। তোমার আমার দাম্পত্যের জীবন আসলেই সুখের হবে না।