গণস্বপ্ন ২০৫০ এর কিছু স্লোগান ও কিছু চুম্বকীয় কথা

জনগণের ক্ষমতায়ন, সর্বস্তরীয় গণতন্ত্রায়ন, গণস্বপ্ন ২০২০: উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার, স্থানীয়করণ, স্থানীয় ইউনিট, কৃষি পেশা, অকৃষি পেশা, নগরায়ন, গণস্বপ্ন ২০৫০: নগরীয় দেশ, নগরীয় কৃষি, গ্রামীণ কৃষি, গ্রামীণ-নগরীয় দেশ, গ্রামীণ ইউনিট, নগরীয় ইউনিট, গ্রামীণ-নগরীয় ইউনিট নিয়ে আবু তালেব প্রণীত কিছু ক্যাম্পেইন স্লোগান ও কিছু চুম্বকীয় কথা:



সর্বস্তরে গণতন্ত্রায়ন, জনগণের ক্ষমতায়ন; 

গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্থানীয়করণ, জনগণের ক্ষমতায়ন; 

বিভাগে বিভাগে গণতন্ত্রায়ন, বিভাগীয় নরনারীর ক্ষমতায়ন; 

জেলায় জেলায় গণতন্ত্রায়ন, জেলার নরনারীর ক্ষমতায়ন; 

উপজেলায় উপজেলায় গণতন্ত্রায়ন. উপজেলাবাসীর ক্ষমতায়ন; 

ইউনিয়নে-ইউনিয়নে গণতন্ত্রায়ন, ইউনিয়নবাসীর ক্ষমতায়ন; 

ইউনিয়নে-ইউনিয়নে গণতন্ত্রায়ন, গ্রামবাসীর ক্ষমতায়ন;

ইউনিয়ন মানে ১০-১৫টি গ্রাম, ১০-১৫টি গ্রাম মানে একটি ইউনিয়ন; এটি বুঝতে হবে;

গ্রাম ও ইউনিয়ন শুধু তৃণমূল নয়, মহল্লা ও নগরীয় ইউনিটও তৃণমূল; তা বুঝতে হবে;

নগরে নগরে গণতন্ত্রায়ন, নগরবাসীর ক্ষমতায়ন; 

নগর মানে শহর/পৌর, শহর/পৌর মানে নগর; এটি বুঝতে হবে;

নগরীয় কৃষি, কৃষিকে নিয়েই নগর; 

নগর মানে কৃষি নয়, এই ভুল ধারণা/মানসিকতা বদলাতে হবে;

বাংলাদেশকে ‘গ্রামীণ-নগরীয় দেশ’ হিসেবে এখনই ঘোষণা করতে হবে;

ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হচ্ছে নগরীয় বাংলাদেশ, এটি জানতে ও বুঝতে হবে;

“গ্রামীণ” থেকে “নগরীয়” হতে থাকা প্রক্রিয়া/বিষয়টি বুঝতে হবে;

কৃষিতে নিয়োজিত ৪০.৬০% শ্রমশক্তি কমিয়ে এনে ২০ করতে হবে;

বর্তমানে কৃষিতে কেবল ২০% শ্রমশক্তি দিয়েই খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব;

কৃষিতে প্রায় ২০% শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে, তা রোধে এ ২০% শ্রমশক্তি অকৃষি পেশায় নিতে হবে;

এক পর্যায় কৃষিতে মাত্র ১০% শ্রমশক্তি দিয়েই খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হবে;

জিডিপিতে কৃষিরঅবদান কমে ১৩% হয়েছে, তা আরও কমে ৫% হবে কিন্তু কৃষি অতিগুরুত্ব হারায়নি, হারাবে না;

অকৃষি পেশায় শ্রমশক্তি ৭৫% এ উন্নীত করতে হবে; এবং তা এক পর্যায়ে ৯০% এ উন্নীত করতে হবে:

“গ্রামীণ কৃষি” মানে ইউনিয়ন এলাকা কেন্দ্রীক কৃষি ব্যবস্থা; 

“নগরীয় কৃষি” মানে নগরীয় এলাকা কেন্দ্রীক কৃষি ব্যবস্থা;

এখন নগরীয় কৃষি ও গ্রামীণ কৃষি একই সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে;

খাদ্য-শস্য চাষই শুধু কৃষি নয়, মৎস্য চাষ, প্রাণি পালন, বনপালন, উদ্যান পালন, মৌমাছি পালন ও কৃষি; 

 “গণস্বপ্ন ২০৫০: নগরীয় বাংলাদেশ বাই ২০৫০ ভায়া গ্রামীণ-নগরীয় দেশ” জানুন, বুঝুন;

“গণস্বপ্ন ২০২০: একটি উন্নত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বাই ২০২০” জানুন, বুঝুন;

১৯৯৭ সালে “গণস্বপ্ন ২০২০” অর্জনে সময়সীমা (২০২০ ৩১ ডিসেম্বর) ঠিক করা হয়েছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী (২০২১ ২৬শে মার্চে) উৎসবে উন্নত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাফল্য উদযাপন করতে; জনাব তালেব নিজে উন্নত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণস্বপ্ন ২০২০ উপস্থাপিত করেই দৃষ্টান্ত স্থাপিত করেন; এবং একই উদ্দেশে জনাব তালেব অন্যান্য বিষয়ে সরকারকে “গণস্বপ্ন ২০২০” ঠিক করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন: এতে কিছু-কিছু ক্ষেত্রে কাজ হলেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ বিষয়ে পুনরায় নতুন সময়সীমা দিয়ে পরিপ্রেক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে; এবং তা অর্জন করতে ২৫টি ক্ষেত্রে ২৫টি গণতন্ত্রায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রসঙ্গত, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে তা হল, “উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ” ও “উন্নত দেশ” এক বিষয় নয়; এ দু’টোকে গুলিয়ে ফেলা উচিত হবে না।

- ধারাবাহিক চলমান


Post a Comment

Previous Post Next Post