যাদু বাস্তবতার অনন্য রূপকর গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ

জাসিন্তা আরেং : জীবন, বাস্তবতা ও কল্পনারই একটি রূপ। বাস্তবতাই কল্পনা জগতের অনুপ্রেরণা ও অসীম উৎস। জীবনের সেই বাস্তবতাপ্রোথিত রূপকেই যাদুবাস্তবতার রূপ দিয়েছেন কলাম্বিয়ান ছোট গল্পকার ও ঔপন্যাসিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ এবং উপস্থাপন করেছেন যাদুবাস্তবতার অস্তিত্বকে গোটা বিশ্বের কাছে। লৌকিক-অলৌকিক, ভৌতিক-অতি-অলৌকিক ইত্যাদির রসায়নে সৃজনশীল এক সাহিত্যেরে সৃষ্টি করেছেন এই লেখক। তিনি যাদুবাস্তবতার যাদুমন্ত্রে মুগ্ধ করেছেন কোটি সাহিত্যপ্রেমীদের। তারই হাত ধরে সাহিত্যের এই সৃজনশীল শিল্প স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্বজুড়ে, জনপ্রিয়তা লাভ করেছে আন্তর্জাতিকভাবে এবং অনুপ্রাণিত করেছে বাংলা সাহিত্যিকদেরও। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার যেসকল লেখক তাদের সাহিত্যে কল্পনা ও বাস্তবতার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন, তারা সকলেই মার্কেজের যাদুবাস্তবতার দ্বারা কম-বেশি অনুপ্রাণিত। সালমান রুশদির মত লেখকেরা তার যাদুবাস্তবতার এই শিল্পকে আরো প্রসারিত ও বিকশিত করেছেন তাদের সাহিত্যকর্মের দ্বারা। এছাড়াও, আশির দশকে যারা মনস্তাত্বিক, লৌকিক-অলৌকিক বিষয়সমূহ নিয়ে সাহিত্য চর্চা করেছেন, তাদের লেখায় মার্কেজের প্রভাব স্পষ্ট। 

যাদু বাস্তবতার অনন্য রূপকর গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ

অন্যদিকে, তার লেখা ছোট গল্প ও উপন্যাসমূহ অনূদিত হয়েছে শত-শত ভাষায় এবং তা নিয়ে একাডেমিক গবেষণাও চলছে। স্পেনীয় ভাষায় তার লেখা উপন্যাসসমূহ ও গল্পগুলোই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অনূদিত ও পঠিত হয়েছে। তার সৃজনশীলতা ও নৈপূণ্যতা সম্বলিত উপন্যাস নিসঙ্গতার একশ বছর তাকে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে। তার জন্মদিনে তার সৃষ্টি ও সৃজনশীল শিল্প আরও একশ বছর রাজত্ব করুক ও যুগে-যুগে অনুপ্রেরণা যোগাক সাহিত্যপ্রেমীদের এই কামনা করি

লেখক
স্টাফ রিপোর্টার

Post a Comment

Previous Post Next Post